ইতিহাসের পাতায় আবারও নাম লেখালেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৩১ বছরের ইতিহসের রেকর্ড ভেঙে আবারও হোয়াইট হাউসে নিজের জায়গা করে নিলেন ৭৮ বছর বয়সী বিলিয়নিয়র এই রাজনীতিক। আলোচনার তুঙ্গে থাকা মার্কিন নির্বাচন নিয়ে এবার ট্রাম্প ও কমলার মধ্যে চলছিল তুমুল লড়াই। কমলার সকল স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আবারও চার বছরের জন্য ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। বরাবরের মতই এবারও কোন নারীর স্থান হলো না এই মার্কিন মুলুকের মসনদে বসার।
‘রানিং মেট’ হিসাবে জেডি ভ্যান্সকে পছন্দ করেছিলেন ট্রাম্প। তাই তিনি হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এমনকি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের দৌড়ে তিনি প্রথম দিকে থাকবেন বলেও আগাম অনুমান করা হচ্ছে।
এককালে ট্রাম্পের ‘কড়া সমালোচক’ হিসেবেই পরিচিত ছিল এই ভ্যান্স। গেল ৫ নভেম্বর নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় পরবর্তী রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন জেডি ভ্যান্স। তবে কে এই জেডি ভ্যান্স তা নিয়ে অনেকের মনেই তৈরী হয়েছে নানান কৌতূহল।
এক সময়কার ট্রাম্পের কড়া সমালোচক থেকে তারই রানিংমেট হওয়া এবং এই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর জেডির নতুন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়ার এই যাত্রাটি ছিল বেশ আকর্ষণীয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক তার সম্পর্কে।
জেডি ভ্যান্সের জন্ম ওহাইয়োর মিডলটাউনে। তিনি মিডলটন হাইস্কুল থেকে পাস করার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পসে যোগ দেন। যোগদানের তাকে পরে ইরাকে মোতায়েন করা হয়। এরপর ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ইয়েল ল স্কুল থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি।
একসময় ক্যালিফোর্নিয়ায় বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন জেডি ভ্যান্স। তার বেড়ে ওঠা এবং তার ব্যক্তিত্ব শ্রমজীবী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারে ভেবেই তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত করেছিলেন বলে অনেকে মনে করেন।
রাজনৈকি পরিচয় বাদেও তার আরও একটি পরিচয় আছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন লেখকও। তার জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে ছিল তার লেখা বই‘হিলবিলি এলেজি’। এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরই তার নাম আলোচনায় উঠে আসে। মূলত বইটি প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন নামকরা অনুষ্ঠানে ভাষ্যকার হিসাবে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো যেখানে তিনি মূলত শ্বেতাঙ্গ শ্রমজীবী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে কথা বলতেন।
তৎকালীন রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ট্রাম্পের সমালোচনা করার সুযোগ খুব কমই হাতছাড়া করতেন তিনি। জানা যায়, ২০২০ সালের শেষের দিক পর্যন্ত ট্রাম্পের বিষয়ে সংশয় ছিল ভ্যান্সের। চার বছর আগে তিনি জানান, ট্রাম্প ‘তার অর্থনৈতিক জনপ্রিয়তা বাস্তবায়িত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন’ এবং ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ হারাবেন। এমনকি সিনেটের জন্য প্রচারের সময় তার আগের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন ভ্যান্স।
মন্তব্য করুন