চার বছর পর আবারও মার্কিন মসনদে ফিরছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজের ম্যাজিক ফিগার করেছেন তিনি। ফলে পুনরায় মার্কিন মসনদে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনএনের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে ম্যাজিক ফিগার পার করেন ট্রাম্প। তিনি এখনো পর্যন্ত ইলেক্টোরাল কলেজের ২৭৬টিতে জয় পেয়েছেন। যেখানে নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ২৭০টি কলেজের প্রয়োজন পড়ে।
ট্রাম্প নির্বাচনে গতবার পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর এবারের নির্বাচনে আবার জয় পেয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে দেশটিতে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি। হোয়াইট হাউস ছাড়ার চার বছর পর আবার হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ট্রাম্প। এটি ট্রাম্পের দারুণভাবে এক রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস হতে চলেছে।
চার বছর পর পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে আমেরিকার দীর্ঘ এক রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি। হোয়াইট হাউস ছাড়ার চার বছর পর আবার হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হতে চলেছেন ট্রাম্প। তার আগে গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড এমন ইতিহাস গড়েছিলেন। ১৮৮৫ থেকে ১৮৮৯ পর্যন্ত ২২তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে হেরে যান তিনি। তারপর ১৮৯৩ সালে পুনরায় ২৪তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ক্লিভল্যান্ড। দীর্ঘ ১৩১ বছর পর ট্রাম্প সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করলেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ। সব ভোট গণনা শেষের আগেই প্রাথমিক ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের হিসাব-নিকাশ মতে, আর কোনোভাবেই কমলা হ্যারিসের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
ট্রাম্পের জয়ের খবরে বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবে মেতেছেন তার সমর্থকরা। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রধান কার্যালয় থেকে বিবিসি জানিয়েছে, ফক্স নিউজ যখন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের অনুমান ঘোষণা করছিল তখন হলরুমে উপস্থিত সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাদের কান ফাটানো জয়ধ্বনিতে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক সমর্থক আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
অপরদিকে কমলা এখনো হাল ছাড়ছেন না। তার প্রচারশিবিরের সহসভাপতি সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, ‘আমাদের এখনো ভোট গণনা করা বাকি আছে। আমাদের এমন রাজ্য রয়েছে যেগুলোর ফল এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা রাতেও লড়াই চালিয়ে যাব। যাতে প্রতিটি ভোট গণনা হয়। প্রতিটি কণ্ঠস্বর যাতে নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং আপনি (সমর্থক) আজ রাতে ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে ভাষণ শুনতে পাবেন না। তবে আগামীকাল তিনি ভাষণ দেবেন।’
মন্তব্য করুন