আজ শুরু হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব রাখে ৭টি সুইং স্টেট। গেম চেঞ্জারও বলা হয় এ রাজ্যগুলোকে। ফলে এমন পরিস্থিতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে দুই অঙ্গরাজ্য মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া। এর পেছনে বেশকিছু কারণও রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ দুটি রাজ্য কেন গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাটেল গ্রাউন্ড বা সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া। কেননা সাতটি সুইং স্টেটের মধ্যে এ দুটি রাজ্যই মূলত নির্ধারণ করতে কে হবেন আগামীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
পেনসিলভানিয়ায় মূলত সর্বাধিক ১৯টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে। ২০২০ সালে বাইডেনও এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে নির্বাচনে এটিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ রয়েছে। এরমধ্যে এ রাজ্যটিতে রয়েছে ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ। এছাড়া রাজ্যটিতে ১৩ মিলিয়ন লোকের বসবাস রয়েছে। ২০২০ সালে বাইডেন এ রাজ্য থেকে ৮২ হাজার ভোটে জয় পেয়েছিলেন।
এরপর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মিশিগান অঙ্গরাজ্য। এ অঙ্গরাজ্যটিতে ১৫টি ইলেকটোরাল কলেজ রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে মিশিগানকে ‘নীল প্রাচীর’ রাজ্য বলা হতো। এ রাজ্যতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের জন্য ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যদিও ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প এ প্রথাকে ভেঙেছিলেন। পরে ২০২০ সালের নির্বাচনে আবারও বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করেন বাইডেন।
এ অঙ্গরাজ্যটিতে মোট ১৫টি ইলেকটোরাল কলেজ রয়েছে। এ ছাড়া রাজ্যটিতে মোট ১০ মিলিয়ন লোকের বসবাস রয়েছে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক লাখ ৫০ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য শুধুই একটি রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা নয়; বরং এটি একটি অগ্নিপরীক্ষা, যেখানে তার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। জয়ী হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম অপরাধমূলক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে ইতিহাস রচনা করবেন। আর পরাজয় তাকে এনে দিতে পারে কারাগারের কড়া শিকল।
যদি ট্রাম্প নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে এটি হবে এক অভূতপূর্ব ঘটনা এক অপরাধমূলক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হোয়াইট হাউসের কর্তা হয়ে ফিরবেন। তবে পরাজয় হলে তার জন্য অপেক্ষা করছে আইনি ঝড়, যা তাকে কারাগারে নিয়ে যেতে পারে।
এর আগে ২০১৬-২০২০ সালের তার প্রেসিডেন্ট পদে থাকা অবস্থায় দুবার অভিশংসনের সম্মুখীন হন তিনি। প্রথমবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগে, দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হামলায় উসকানির দায়ে।
মন্তব্য করুন