যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা পদ্ধতি দুটি। একটি হলো মাথাপিছু ভোট, যাকে বলে পপুলার ভোট। অন্যটি হলো অঙ্গরাজ্যভিত্তিক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। মার্কিন গণতন্ত্রে পপুলার ভোটের চেয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট অনেক বেশি ক্ষমতাশালী।
অর্থাৎ একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সর্বাধিক পপুলার ভোট অর্জন করলেও তা তাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ- ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট অর্জন করতে সক্ষম হলেই প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে।
যে রাজ্যের জনসংখ্যা যত বেশি তাদের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যাও তত বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য হলো ক্যালিফোর্নিয়া। তাই এ রাজ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। ইলেকটোরাল ভোটের সবচেয়ে বিতর্কিত একটি বিষয় হলো ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি। এর অর্থ হলো, জয়ী প্রার্থীকে সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট দিয়ে দেওয়া হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ৩০টি পপুলার ভোট এবং রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ২৫টি পপুলার ভোট। যেহেতু ডেমোক্রেটিকরা বেশি ভোট পেয়েছে তখন ধরে নেওয়া হবে শুধু ৩০টি ভোট নয় ৫৫টি ভোটই ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে। একেই বলা হয় ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি।
উইনার টেক অল পদ্ধতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের বিষয়টি বেশ বিতর্কিত। ২০০০ সালে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী আল গোর ওই সময়ে সর্বাধিক পপুলার ভোট পেয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। কারণ, তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের জর্জ বুশ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছিলেন ২৭১টি। আর এতেই তিনি আল গোরকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন।
একই ঘটনা ঘটে হিলারি ক্লিনটনের বেলায় ২০১৬ সালে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ ভোট বেশি পেলেও ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন হিলারি। ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩০৪টি ইলেকটোরাল ভোট, আর হিলারি পেয়েছিলেন ২২৭টি। ফলে প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মন্তব্য করুন