উবারে প্রাইভেটকার ডেকে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন দুই নারী। সব কিছু ঠিকঠাকই যাচ্ছিল। কিন্তু পথে গাড়িতেই চালক নামাজ আদায় শুরু করলে বাধে বিপত্তি। যাত্রীদের একজন চালকের চোখে-মুখে পেপার স্প্রে করেন। এমন অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওই নারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে বিচার শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস এ ব্যাপারে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, একজন মুসলিম উবার চালক প্রার্থনা করার সময় মরিচের গুঁড়া স্প্রে করার অভিযোগে নিউইয়র্কের এক নারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত নারী জেনিফার গুইলবিল্টের বিরুদ্ধে এর আগেও ঘৃণামূলক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সেসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা মামলার নথি এবং আদালতে দেওয়া বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছেন, ঘটনাটি ৩১ জুলাই ম্যানহাটনের আপার ইস্ট সাইডে সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ঘটেছে। চালক তার আসনেই নামাজ পড়া শুরু করেন। এ সময় পেছনের সিটে বসা জেনিফার চালকের আসনের দিকে এগিয়ে যান এবং পেপার স্প্রে করেন। এ সময় চালক বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে তিনি জরুরি সেবা নম্বর ৯১১ এ কল দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জেনিফারকে গ্রেপ্তার করে। পরে চোখ জ্বালা ও ব্যথার উপসর্গ নিয়ে ভুক্তভোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের বিজ্ঞপ্তির পর সিএনএন ওই চালকের পরিচয় খুঁজে বের করেছে। তার নাম সোহেল মাহমুদ।
এ বিষয়ে আরও জানতে জেনিফারের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংবাদমাধ্যমটি। তাকে ই-মেইলও পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেননি।
ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ বলেছেন, অভিযুক্ত জেনিফার গুইলবিল্ট একজন মুসলিম উবার চালককে নির্বোধভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। ভুক্তভোগী একজন পরিশ্রমী নিউ ইয়র্কবাসী। শুধু তার ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য তাকে হেনস্থা করা হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। ম্যানহাটনে বসবাস ও কাজ করার জন্য আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই।
মন্তব্য করুন