আর মাত্র কয়েক দিন। তারপরই নির্ধারিত হতে যাচ্ছে বৈশ্বিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে কে বসবেন। ইতিহাস গড়ে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন কমলা হ্যারিস? না কি আবারও উন্মাদ রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দখলেই যাবে হোয়াইট হাউজে। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই গাজা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দুই প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন প্রভাবশালী মার্কিনিরা। এর মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। কিন্তু ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে কী চান তিনি?
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ধনীদের রাজনৈতিক আচরণের যে ঐতিহ্য রয়েছে তা পাল্টে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তহবিলে সবচেয়ে বড় দাতাদের একজন তিনি। এমনকি সুইং স্টেটগুলিতে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারাভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন ইলন মাস্ক।
১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ার বাটলারে হত্যা প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পকে প্রথম সমর্থন দেয়ার পর থেকে, ইলন মাস্ক ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের একটি অংশ হয়ে উঠেছেন, যেখানে তিনি প্রায়শই সতর্কবার্তা দিয়ে থাকেন যে শুধুমাত্র ট্রাম্পই আমেরিকার গণতন্ত্রকে ‘বাঁচাতে’ পারেন। প্রচারণার শেষ দিনগুলিতে ইলন মাস্ক পেনসিলভানিয়া রাজ্যে বেশ সক্রিয় হয়েছেন, যেটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমালা হ্যারিস, উভয়ের জন্যই সমান মনোযোগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি নভেম্বরে জয়ী হলে, মার্কিন সরকারের ‘খরচ কমানো’-র ব্যাপারটা তদারকি করতে পারেন ইলন মাস্ক। এমনকি যদি তিনি সেই দায়িত্ব পালন না করেন, তবুও ইলন মাস্কের সমর্থনের জন্য ট্রাম্প তার কথা শুনবেন এবং মাস্ক প্রশাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারেন বলে পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন। ইলন মাস্ক বলেছেন যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ‘শ্বাসরোধ’ করা ঠেকাতে একটি ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ করা হলে সেটার নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী থাকবেন।
ইলন মাস্ক বরাবরই রাজনীতির একেবারে ভেতরে না ঢুকে পাশাপাশি থেকেছেন। যা দেশের অভিজাত ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরল। অভিজান ব্যবসায়ীরা সাধারণত পিছনে থেকে রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পছন্দ করেন। তারা তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সম্ভাব্য দাতাদের খুশি করতে হ্যাম্পটনের বিশাল বাড়িতে ব্যয়বহুল ভোজ আয়োজনের জন্যই বেশি পরিচিত। এদিক থেকে দেখতে গেলে মাস্কের এমন আচরণ বড় বড় ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব বা সিইওদের প্রচলিত আচরণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
মন্তব্য করুন