প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় নিযুক্ত বিচারকের ওপর চটেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প বলেন, ‘এই বিচারকের আওতায় আমার ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
ট্রাম্পের এই মামলায় মার্কিন জেলা জজ তানিয়া চুটকানকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই মামলায় তানিয়া চুটকানকে প্রত্যাহার এবং আদালত ভেন্যু পরিবর্তনের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে আদালতে কোনো আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেননি তিনি।
গত ১ আগস্ট ট্রাম্পকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এরপর এই মামলায় ৩ আগস্ট বিকেলে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একটি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ট্রাম্প। এ নিয়ে গত চার মাসে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তৃতীয়বারের মতো আদালতে হাজিরা দেন তিনি।
আরও পড়ুন : নিজেকে নির্দোষ দাবি ট্রাম্পের
এদিন নিউ জার্সির বাসভবন থেকে ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে আদালতে হাজিরা দিতে যান ট্রাম্প। বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানোর সময় তিনি নরম গলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
আদালত থেকে বেরিয়ে ভার্জিনিয়ার বিমানবন্দরে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি খেয়াল করলে দেখতে পারবেন, যা ঘটছে তা একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিপীড়ন। আমেরিকায় এমনটা কখনোই হওয়ার কথা ছিল না।’
এর আগে গত ১ আগস্ট মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা এবং জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টাসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়। ট্রাম্প ছাড়াও এ মামলায় আরও ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এ মামলাসহ সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এ নিয়ে তিনটি মামলা হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি বেআইনিভাবে নিজের কাছে রেখে দেওয়া এবং সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার অভিযোগে দুটি মামলা হয়।
মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। তিনি বলেন, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হন। তবে এ নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার জন্য বেআইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ জন্য তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের চাপ দেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য এবং মার্কিন গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে ক্যাপিটল হিলের সহিংসতা উসকে দেন।
মন্তব্য করুন