ইরানে ইসরায়েলের পাল্টা হামলা নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস। পৃথক দুটি প্রচারসভায় তারা ওই মন্তব্য করেন। দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতা এবার ইতিহাসের অন্যতম কঠিন লড়াই হয়ে উঠেছে। আগামী চার বছরের জন্য বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটির শাসনভার কার হাতে যাবে, তা নির্ধারণে এখন শ্বাসরুদ্ধকর প্রতিযোগিতা চলছে। এ প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে দুই প্রার্থীর অন্যতম অস্ত্র ইসরায়েল। কে কত ইহুদিপ্রেমী তা প্রমাণে কয়েক মাস যাবৎ বাকযুদ্ধ চলছে।
সর্বশেষ ইরানে হামলার পর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েল আক্রমণ করছে। আমাদের একটি যুদ্ধ চলছে এবং তিনি (কমলা হ্যারিস) পার্টি করছেন। ট্রাম্প শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মিশিগানে একটি সমাবেশে এ কথা বলেন। তখন হ্যারিস টেক্সাসে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন।
পরে হ্যারিস শনিবার হামলা নিয়ে কথা বলেন। তার বক্তব্যে উত্তেজনা প্রশমন এবং মধ্যপ্রাচ্যে হিংসাত্মক কার্যকর বৃদ্ধি না করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি ও যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে অনুভব করি, ইরান এই অঞ্চলের জন্য যে হুমকি উপস্থাপন করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এ উত্তেজনা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ইরানের যে কোনো আক্রমণের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা ইসরায়েলকে রক্ষা করব। মিশিগানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে রাজধানী তেহরানের কাছে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় রাজধানীর কাছেই কারাজ শহরেও। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে তারা।
জানা গেছে, আগেই ইরানকে হামলার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল। এ কারণে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বাহিনী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত তিনটি সূত্রের বরাতে অ্যাক্সিওস নিউজ জানিয়েছে, তৃতীয় একটি দেশের মাধ্যমে ইরানকে হামলার বিষয়ে অবগত করেছিল নেতানিয়াহু প্রশাসন। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে রাখে তেহরান। ফলে, ইসরায়েলি হামলাগুলোকে আকাশেই ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হয় খামেনির দেশ।
মন্তব্য করুন