তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইমরান খানের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে এক মেইল বার্তায় এ কথা জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
আজ রোববার (৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ‘ইমরান খান ও পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে আহ্বান জানাই।’
এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার। আদালতের এ রায়ের পরপর শনিবার বিকেলে তাকে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ।
আরও পড়ুন : ইমরান খান গ্রেপ্তার
একইসঙ্গে তোশাখানা উপহারের তথ্য গোপন করার দায়ে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ মামলায় বিচারক রায় দেওয়ার সময় ইমরান খান বা তার আইনজীবী কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার বলেন, ‘এ মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ইচ্ছা করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের কাছে জাল তথ্য দেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এ জন্য তাকে নির্বাচন আইনের ১৭৪ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
ইমরানের খানের সাজা এবং তাকে গ্রেপ্তারের পরপর দলের করণীয় নিয়ে পিটিআইয়ের কোর কমিটি জরুরি বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে দেওয়া এক হ্যান্ডআউটে বলা হয়েছে, তারা ইমরান খানের মুক্তি ও দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া দলের পক্ষ থেকে সংবিধান ও দেশের আইন মেনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেইশি বলেন, সরকার ‘প্রচণ্ড ভীত’ হয়ে আদালতের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পূর্বপরিকল্পিত রায় দিয়েছেন।
জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোরেইশি বলেন, ‘আমি আদালতের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করছি। এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিত। এটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল।’
তোশাখানা মামলা
ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই তোশাখানা দুর্নীতি মামলা দায়ের করে ইসিপি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তোশাখানা থেকে প্রাপ্ত উপহারের তথ্য ইসিপির কাছে ইচ্ছে করে গোপন করেছেন ইমরান। সাধারণত বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার তোশাখানায় রাখা হয়। পরে এ মামলায় গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন