ইসরায়েলের সেনাসহ ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান থেকে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধীব্যবস্থাসহ দেশটিতে তারা মার্কিন সেনা পাঠাবে।
ইসরায়েলে সেনাসজ প্রতিরক্ষা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা ও সেনা পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ও ১ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিবিহীন হামলা চালায় ইরান। দেশটির এ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যালিস্টিক মিসাইলেরর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণা ইসরায়েলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে মধ্যপ্রাচ্য। গত এক বছরে বিশ্বে অনেক বিপদের মুহূর্ত এসেছে। তবে এবারেরটি সবচেয়ে ভয়াবহ। গত কয়েক দিন আগে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। এরপর লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। জবাবে ইরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে।এরপর তেহরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তেলআবিব।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দ্রুত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর পক্ষ থেকে সব পক্ষকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্য সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। গত এক সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার কারণে মূলত এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন