লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে এ অভিযানে এখনও নিজের অবস্থান সুবিধা করতে পারেনি তারা। লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর হামলায় কড়া মূল্যা দিতে হচ্ছে দেশটির। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় এসেছে ইসরায়েলের সমর্থনে মার্কিন সেনা মোতায়েনের বিষয়ে। এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব সেনা মোতায়েন করবে না। হারিকেন হেলেনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় ইরানের তেল অবকাঠামোতে ইসরায়েল হামলা চালালে তাতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিবে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে আভ্যন্তরীণ কূটনৈতিক আলোচনার বিষয় তিনি প্রকাশ্যে আনতে চান না।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, ইসরায়েল সামান্য কোনো ভুল করলে তার জন্য কড়া মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি ছিল ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া। এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, তেল আবিবের সামান্যতম ভুল আরও সংঘাত ও উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলবে।
গাজা ও লেবাননে ইসরায়েল হামলার নিন্দা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে ইসরায়েলকে সমর্থনের সমালোচনা করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার রাতের অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২-এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমারা গাজায় যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হানিয়াহর হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া থেকে ইরানকে কথা বলে প্রতারণা করেছে।
ইরানের প্রসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলি শাসকদের নৃশংসতার ধারাবাহিকতা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রেতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য করছে। এ সময় তিনি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় ঐক্যের অভাব ফিলিস্তিনি এবং লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে আরও অপরাধ করতে ইসরায়েলি সরকারকে উৎসাহিত করেছে।
মন্তব্য করুন