আর মাত্র মাসখানেক পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর হঠাৎ করেই প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারপরই নির্বাচনী খেলাটা একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে যায়।
এর আগে করোনাভাইরাস, গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বাইডেনের অবস্থান একেবারেই নড়বড়ে ছিল। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস পরবর্তী প্রার্থী হওয়ায় ডেমোক্রেটদের অবস্থান কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়াটা একপ্রকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গেল দুই সপ্তাহ ধরে জনমত জরিপে ট্রাম্প ও কমলা কার্যত একই জায়গায় আটকে আছেন। উভয়ের চলতি অবস্থা ৫০-৫০। যদিও কমলার জয়ের ব্যাপারে নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা এখনো পুরোপুরি আস্থাবান নন। বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নামজাদা জনমত জরিপকারী হলেন নেইট সিলভার। কয়েক দিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ভোট হলে কমলা নয়, ট্রাম্পই জিতবেন।
নেইটের এমন মন্তব্যের পর নানা মহলের সমালোচনার শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে সমালোচনা ঠেকাতে অথবা নতুন উপাত্ত হাতে পেয়ে নেইট সিলভার অবশ্য তার মত বদলেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে সফল বিতর্কের পর সামান্য হলেও কমলার জনসমর্থন বেড়েছে। সে উপাত্তের ভিত্তিতে সিলভারের নতুন নির্বাচনী মডেলে এই মুহূর্তে কমলা ও ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ৫০-৫০।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে যে রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে জিততে হলে কমলা বা ট্রাম্পকে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে জয় পেতে হবে। ২০২০ সালে বাইডেন প্রথাগত ডেমোক্র্যাট প্রধান অঙ্গরাজ্য ছাড়াও এই তিন অঙ্গরাজ্যে জিতেছিলেন। ফলে জিততে হলে কমলাকেও একই ফল অর্জন করতে হবে। এছাড়া সম্ভাব্য বিকল্প হলো দক্ষিণের চারটি অঙ্গরাজ্য- নেভাদা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা। এই চার অঙ্গরাজ্যেই কমলা ও ট্রাম্পের অবস্থান সমানে সমান।
ডেমোক্র্যাটদের বিশ্বাস, সব কটিতে না হোক, এর দুটি বা তিনটিতে তাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে রিপাবলিকানরা বলছেন, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প যদি পেনসিলভানিয়ায় জয় নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলেই হোয়াইট হাউসে তার পুনঃপ্রবেশ অনিবার্য। এ মুহূর্তে সব লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু পেনসিলভানিয়া, যার থলিতে রয়েছে ১৯টি ইলেকটোরাল ভোট। সদ্য পাওয়া জরিপ অনুসারে এখানে কমলা ও ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।
মন্তব্য করুন