ইসরায়েলে গত ৭ আক্টোবরে নজিরবিহীন হামলা চালানোর ঘটনায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের বর্তমান প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ গোষ্ঠীটির ছয় শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের হামলা এবং এটির পরিকল্পনা, সমর্থন ও নির্দেশের অভিযোগে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ ছয়জন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। তারা হলেন হামাসের পলিটব্যুরোর সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দাইফ ও ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ইসা।
অন্যদিকে জীবিতদের মধ্যে অভিযুক্তরা হলেন হামাসের দোহা শাখার প্রধান খালেদ মেশাল এবং লেবানন শাখার প্রধান আলি বাকারা।
এর আগে ক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আইনজীবীরা আপিল করেছিলেন। ৬ মাস পর সে আবেদনের সাড়া দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ইরান-হিজবুল্লার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তাপুষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ইসরায়েলে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছিল। ইসলায়েলকে ধ্বংস করা তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ। এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি।
মন্তব্য করুন