রাশিয়াকে দমাতে গিয়ে উল্টো চূর্ণ হয়ে গেছে আমেরিকার দম্ভ। দেশটির অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাশিয়ার হামলার সামনে টিকতেই পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে লজ্জায় ফেলে দেওয়া এমন ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন পাইলটও। নিজেদের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ বিধ্বস্ত হওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর অবস্থায় রয়েছে মার্কিন ও রুশ সম্পর্ক। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার বড় ধরনের একটি হামলা ঠেকাতে গিয়ে ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমানের চালান পাঠানোর পর এ প্রথম কোনো বিমান বিধ্বস্ত হলো।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ফেসবুকে এক পোস্টে জানায়, রাশিয়ার একটি টার্গেটের দিকে যাওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় যুদ্ধবিমানটির পাইলট নিহত হয়েছেন। ওই যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। বিধ্বস্ত হওয়ার যুদ্ধবিমানটি চারটি রাশিয়ান ক্রুজ মিসাইল ভূপাতিত করার দাবিও করেছে কিয়েভ।
অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, সোমবারের ওই বিধ্বস্তের ঘটনার সঙ্গে রাশিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা আছে বলে মনে হয় না। সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে পাইলটের ভুল থেকে কারিগরি ত্রুটির মতো বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া এই বিমান হারিয়ে বেশ ভালো ক্ষতিই হয়েছে ইউক্রেনের।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ঠিক কতগুলো যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেছে তা কোনো পক্ষই খোলাসা করেনি। তবে টাইমস অব লন্ডন একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬টি যুদ্ধবিমান পেয়েছে ইউক্রেন। এর আগে গেল ৪ আগস্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, এফ-১৬ চালানোর মতো দক্ষ পাইলটের অভাব রয়েছে তাদের। এমনকি তাদের পর্যাপ্ত যুদ্ধবিমানও দেওয়া হয়নি।
আড়াই বছর আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, সংখ্যায় অল্প হলেও ইউক্রেনের জন্য এফ-১৬ প্রাপ্তি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটা হয়তো সংঘাতের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারবে না। রাশিয়া হামলা চালানোর পর থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছিল ইউক্রেন।
মন্তব্য করুন