পরমাণু অস্ত্র অর্জন ও ইসরায়েলকে মোকাবিলায় পরাশক্তিগুলোর ওপর নিজের প্রভাব বিস্তারে ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের এ পরাশক্তি এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে অঞ্চলটিতে মার্কিন প্রভাব ধ্বংসে। এ লক্ষ্যে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় খামেনির দেশ। তারই একটি চাঞ্চল্যকর প্রমাণ পাওয়া গেল অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায়।
বলা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়া ঠেকাতে নিজেদের সবটুকু সামর্থ্য ব্যবহার করতে চাইছে তেহরান।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণাবিষয়ক বিভিন্ন বার্তা হ্যাক করেছে ইরান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এফবিআই এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায়, বিরোধ উসকে দেওয়া এবং মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হেয় করার জন্য ইরান এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কর্মকর্তারা জানান, ১০ আগস্ট তাদের অভ্যন্তরীণ বার্তা হ্যাক করে ইরান। তবে তেহরানের কর্মকর্তারা এমন দাবি অস্বীকার করেন। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বক্তব্যে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইরানের হ্যাকাররা ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণাকেও লক্ষ্যবস্তু করেছিল।
এক বিবৃতিতে মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, তারা মনে করে ইরানি হ্যাকাররা সামাজিক প্রকৌশল এবং অন্যান্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে উভয় রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সরাসরি প্রবেশাধিকারযুক্ত ব্যক্তিদের পাঠানো বিভিন্ন বার্তায় প্রবেশের চেষ্টা করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম মূলত মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী কর্মীরা জানান, তাদের কাছে একটি ফিশিং ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল। এমনকি সেটিকে বিশ্বাসযোগ্য দেখাতে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে কর্মীরা সে লিংকে ক্লিক করে থাকে। গত সপ্তাহে কমলা হ্যারিসের প্রচারকর্মীদের কাছেও একই ধরনের ফিশিং ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল বলে জানা যায়, যদিও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
এফবিআই, মার্কিন অফিস অব দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি সোমবারের যৌথ বিবৃতিতে জানায়, এ ধরনের কৌশলগুলো নতুন নয়। তারা জানায়, রাশিয়া এবং ইরান পূর্ববর্তী মার্কিন নির্বাচনের সময় এ জাতীয় পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল। তবে ইরানের হ্যাকাররা ঠিক কী ধরনের তথ্যে প্রবেশাধিকার পেয়েছে এবং কী কী তথ্য চুরি করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন