যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার বদলে নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ডেমোক্রেটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়ে উঠেছেন। এরপর ট্রাম্প শিবিরে একের পর এক ধাক্কা আসছে। জনমত জরিপে ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। তহবিল সংগ্রহেও প্রভাব পড়েছে। সবশেষ কমলা হ্যারিসের বর্ণ পরিচয় নিয়ে আক্রমণ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।
নির্বাচনের মাঠের এমন পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন তিনি। কমলার সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে তিনি বলেন, কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ফক্স নিউজে বিতর্ক করতে গত বুধবার সম্মত হয়েছিল। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর আমরা বিতর্কে অংশ নেব।
ট্রাম্পের এ ঘোষণা কয়েক ঘণ্টা আগে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির দলীয় প্রার্থিতা নিশ্চিত করেছেন কমলা। ডেমোক্রেটিক পার্টির দলীয় প্রার্থী হতে যে পরিমাণ ডেলিগেটের ভোট দরকার তার চেয়ে বেশি পেয়েছেন। শুক্রবার ডেমোক্রেটিক পার্টির ‘ন্যাশনাল কমিটি চেয়ার’ জেইম হ্যারিসন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ভোটগ্রহণ শুরু করে ডেমোক্রেটিক পার্টি। ইমেইলে এ ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। চলবে আগামী সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। কিন্তু শুক্রবারের (২ আগস্ট) হিসাবেই প্রার্থী হতে প্রয়োজনীয় ভোট পেয়ে যান কমলা হ্যারিস। শনিবারের হিসাবে তার ঝুলিতে যোগ হতে থাকে অতিরিক্ত ভোট। পার্টির ‘ন্যাশনাল কমিটি চেয়ার’ জেইম হ্যারিসন ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে কমলা হ্যারিস বলেন, তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধিরা পছন্দ করার জন্য তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। আগামী সপ্তাহে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করবেন। এরপর চলতি মাসের শেষের দিকে শিকাগোতে দলের সম্মেলনে সবার সঙ্গে যোগ দেবেন। সেখানে তিনি তার এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত সবার সঙ্গে উদ্যাপন করবেন।
মন্তব্য করুন