আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। নিজ দলের নেতারাই এখন প্রকাশ্যে বলছেন, চলতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে তিনি যেন সরে দাঁড়ান। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনের দিকে নজর ছিল সবার। তবে সব উদ্বেগ উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তিনি সুস্থ আছেন এবং নির্বাচনে লড়ছেন। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য তিনিই সেরা প্রার্থী।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন এসব কথা বলেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ৭৫তম সম্মেলন শেষে একক এ সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন। প্রায় এক ঘণ্টার এ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনের রাজনৈতিক জীবন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব, দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া, পররাষ্ট্রনীতিসহ নানা বিষয় উঠে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকার ব্যাপারে তার অনড় অবস্থান প্রকাশ করেন। বাইডেন বলেন, আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে আমি লড়ছি। সুস্থ আছেন দাবি করে বাইডেন বলেন, স্নায়ুবিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমি ভালো অবস্থায় রয়েছি। কাজের ক্ষেত্রে আমি প্রতিদিনই পরীক্ষা দিচ্ছি।
গত মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কে অনেকটা কোণঠাঁসা দেখা যায় বাইডেনকে। এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বারবার ভুল করছিলেন। এরপর থেকেই দলের অনেক নেতা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের বিপরীতে বাইডেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারবেন না। বয়সের কাছে হার মানছেন তিনি।
দলের নেতাদের মধ্যে এমন মতবিভক্তির পর বাইডেন কী সিদ্ধান্ত জানান সেদিকে আগ্রহ ছিল সবার। তবে এ দিনও দুই মস্ত ভুল করেন বাইডেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে তাকে পুতিন বলে সম্বোধন করেন বাইডেন। এছাড়া নিজের সহযোগী মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ট্রাম্প বলে সম্বোধন করেন তিনি।
এদিকে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাইডেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ ও ইপসস একটি জরিপ চালায়। এতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও বাইডেন এ জরিপে সমান ৪৬ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। গত এপ্রিলে এবিসি নিউজ ও ইপসসের জরিপেও এমন চিত্র উঠে এসেছিল।
তবে এবার বাইডেনের জন্য দুঃসংবাদই উঠে এলো জরিপে। ওয়াশিংটন পোস্টের জরিপে বলা হয়েছে, ৫৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারই চাইছেন, বাইডেন যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আর জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক মার্কিনি চাইছেন, ট্রাম্পও যেন সরে দাঁড়ান।
মন্তব্য করুন