কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুদে আসলে সব আদায় করছে রাশিয়া

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

সামরিক পদক্ষেপে ইউক্রেনকে চাপে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুদে আসলে সবকিছু আদায় করছে রাশিয়া। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে একে অন্যের নৌযানে হামলা বন্ধে রাজি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে মস্কো ও কিয়েভ। তবে রাশিয়া এখানে একটি শর্তজুড়ে দিয়েছে।

তারা বলছে, তাদের ব্যাংক, উৎপাদক এবং আন্তর্জাতিক খাদ্য ও সার বাণিজ্যে জড়িত রপ্তানিকারকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।

রাশিয়ার দাবি, ব্যাংকগুলোর মধ্যে সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত করা, খাদ্য বাণিজ্যে যুক্ত রুশ পতাকাবাহী জাহাজগুলোর পরিষেবা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কৃষি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সামগ্রীর সরবরাহে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা। তবে হোয়াইট হাউস যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট নয় যে, এই চুক্তি কবে ও কখন থেকে কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ‘কৃষি ও সার রপ্তানির জন্য বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে’। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই বক্তব্যকে অবস্থানগত দুর্বলতা বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেন, যদি মস্কো তার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে, তাহলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার জন্য চাপ দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা চাইবে।

আর কৃষ্ণসাগর নিয়ে সমঝোতার বিষয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, ‘কৃষ্ণসাগরের পূর্বাংশের বাইরে দিয়ে রুশ সামরিক নৌযানের যে কোনো ধরনের চলাচলকে সমঝোতার লঙ্ঘন হিসেবে ধরে নেবে কিয়েভ। একই সঙ্গে একে হুমকি বলে মনে করা হবে। তখন ইউক্রেনের নিজেদের রক্ষা করার পুরোপুরি অধিকার সৃষ্টি হবে।’

এ বিষয়ে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত ফেডারেশন কাউন্সিল কমিটির প্রধান গ্রিগোরি কারাসিন বলেন, ইউক্রেনে আংশিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় অন্য কয়েকটি দেশ ও জাতিসংঘকে যুক্ত করতে চায় রাশিয়া। তবে রাশিয়ার এই আগ্রহের পেছনে একটি বড় স্বার্থ আছে বলে ধারণা পশ্চিমাদের।

ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা আশঙ্কা করছেন, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্প এমন একটি চুক্তি করতে পারেন, যাতে রাশিয়ার দাবির কাছে নতি স্বীকার করা হবে। এতে ইউরোপের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য রাশিয়া ইউক্রেনে আংশিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদে আসছে তরুণ কবি তানজিনের একক মৌলিক গান

‘মোংলায় আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে চায় চীন’

মুসলিম বিশ্বে ঈদ আসে, গাজায় ঈদ আসে না

চীনা দূতাবাসের সহায়তায় এএসপি ফাউন্ডেশনের ঈদসামগ্রী বিতরণ

টোঙ্গায় ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা

খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে ঈদের জামাত সকাল ৮টায়

যে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন জামায়াত আমির

স্কুল বন্ধ, আফগান মেয়েদের জন্য মাদ্রাসাই একমাত্র পথ

ইমাম নিয়ে বিরোধে ঈদের জামাত বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি

গত দুই দিনে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৪১ লাখ মানুষ

১০

লঞ্চে বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ করে ২৮ যাত্রী কারাগারে

১১

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার

১২

শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ

১৩

ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশিসহ লাখো বিদেশির স্বপ্ন ভাঙার পথে

১৪

হালিমা-খালেক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

১৫

আলুর দর নিয়ে বিতণ্ডা, শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

১৬

হুইল চেয়ারে সিনেমা দেখতে এলেন মোশাররফ করিম

১৭

যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, ইসরায়েলের পাল্টা অবস্থান

১৮

দর-কষাকষি শেষে ২ লাখ মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে

১৯

মিয়ানমারে সাড়ে ১৬ টন ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ

২০
X