বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিক। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে টানা চারবার পার্লামেন্ট সদস্য হয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার ধারেকাছেও আসতে পারেননি। নির্বাচনে তিনি ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া নির্বাচনে মোট ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে নির্বাচন করা টিউলিপ সিদ্দিক ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৬৩০। এ ছাড়া রিফর্ম ইউকে থেকে ক্যাথরিন বেকার ২ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়েছেন। বাকি রিজয়েন ইইউ থেকে ক্রিস্টি এলান-কেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে স্কট এমেরি, জোনাথন লুই লিভিংস্টোন (স্বতন্ত্র) উল্লেখযোগ্য ভোট অর্জন করতে পারেননি। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আবার মনোনয়ন পেয়েছেন—এমন চারজনের একজন হলেন টিউলিপ সিদ্দিক। টিউলিপ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার জ্যেষ্ঠ মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি। তিনি ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ছিল বৈচিত্র্যময়। শৈশবে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে থেকেছেন। পরে কিশোর বয়সে লন্ডনে স্থিত হন এবং সেখানেই পড়াশোনা করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। গত ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবারের টিউলিপ সিদ্দিকের ভোট কমেছে। ওই বছরের নির্বাচনে তিনি ২৮ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছিলেন। যেখানে তার বিপরীত প্রার্থী পেয়েছিলেন ১৪ হাজার ১৮৮ ভোট। ফলে গতবারের তুলনায় এবার তার ভোট সাড়ে চার হাজারের মতো কমেছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি দেশটিতে শিশু এবং প্রাথমিক বিভাগ এবং প্রথমিক শিক্ষার ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেনে। এ ছাড়া ট্রেজারি বিভাগের ছায়া অর্থনৈতিক সচিবও ছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন