অনেকটা তাড়াহুড়োর মধ্যেই ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটে গেল যুক্তরাজ্যে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কিয়ার স্টারমার। জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ব্রিটেনের ক্ষমতায় ফিরে আসল লেবার পার্টি। আর দায়িত্ব গ্রহণ করেই কাজ শুরু করলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরেই কিয়ার স্টারমার বলেছিলেন, ‘পরিবর্তন এখন থেকেই শুরু হলো।’ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিয়ার স্টারমারের আজ (শনিবার) প্রথম কার্যদিবস। প্রথম কার্যদিবসেই পরিবর্তন নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ডাউনিং স্ট্রিটে এসেছেন লেবার এমপি অ্যাঞ্জেলা রেনার। তাকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন কিয়ার স্টারমার। অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র্যাচেল রিভস।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের কাজ জরুরি এবং আজ থেকেই শুরু হচ্ছে।”
আজ সারাদিন নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সময় দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ পদগুলো পূর্ণ হলেও মন্ত্রী পর্যায়ে কনিষ্ঠ পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার কাজ চলবে।
যুক্তরাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কিছু চমকও দেখা গেছে। করোনা মহামারির সময়ে ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা প্যাট্রিক ভ্যালান্সকে বিজ্ঞানবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। আর টিম্পসন গ্রুপের মালিক জেমস টিম্পসনকে কারামন্ত্রী করা হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন স্টারমার। আগামী মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ সম্মেলন শুরু হবে। এটি হবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্টারমারের প্রথম বিদেশ সফর।
গতকাল ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, আগামী সপ্তাহে আবারও স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করছেন। স্টারমারকে ন্যাটোর শক্ত সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্টোলটেনবার্গ।
মন্তব্য করুন