কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১০:৪২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিপুল ভোটে বিজয়ী টিউলিপ সিদ্দিক

বিজয়ের পর উল্লসিত টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত
বিজয়ের পর উল্লসিত টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিক বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে নির্বাচন করা টিউলিপ সিদ্দিক ২৩,৪৩২ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮,৪৬২ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে আছেন গ্রিন পার্টি থেকে লরনা জেন রাসেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৬,৬৩০।

এ ছাড়া রিফর্ম ইউকে থেকে ক্যাথরিন বেকার ২,৯৪০ ভোট পেয়েছেন। বাকি রিজয়েন ইইউ থেকে ক্রিস্টি এলান-কেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে স্কট এমেরি, জোনাথন লুই লিভিংস্টোন (স্বতন্ত্র) উল্লেখযোগ্য ভোট অর্জন করতে পারেননি।

এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আবার মনোনয়ন পেয়েছেন—এমন চারজনের একজন হলেন টিউলিপ সিদ্দিক।

টিউলিপ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার জ্যেষ্ঠ মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি। তিনি ১৯৮২ সালে লন্ডনের মিচামে সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ছিল বৈচিত্র্যময়। শৈশবে তিনি বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে থেকেছেন। পরে কিশোর বয়সে লন্ডনে স্থিত হন এবং সেখানেই পড়াশোনা করেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিকস, পলিসি ও গভর্নমেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান টিউলিপ প্রাথমিক জীবনেই বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে যুক্ত হন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তার নেতৃত্বগুণ দলকে মুগ্ধ করে। অল্প সময়ে তিনি হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের প্রভাবশালী নেত্রীতে পরিণত হন।

এম‌পি নির্বা‌চিত হওয়ার আগে তিনি ক্যাম‌ডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ‌তি‌নিই ছিলেন ক্যাম‌ডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলা‌দেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে তিনি শক্তিশালী সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য বিজয়ী হন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ছায়া মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছেন।

বিজয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় টিউলিপ বলেন, হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য সম্মান। যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা আমাকে ভোট দেয়নি আমি তাদেরও এমপি। তাদের জন্যও আমি কঠোর পরিশ্রম করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবচেয়ে ভয়ংকর ৪ কবিরা গুনাহ 

জুমার দিন মসজিদে হেঁটে যাওয়ার পুরস্কার

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না জাতীয় পার্টি

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত

শীতে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের

ধানবীজ কিনে প্রতারিত কৃষক

কুরিয়ার সার্ভিসে চুরি, ১৯ লক্ষাধিক টাকাসহ কর্মচারী গ্রেপ্তার

বিএনপির অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট ফাইল খুঁজে পাবেন যেভাবে

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নিহত ৪২

১০

আজ ঢাকায় আসছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

১১

ঝোপের ভেতরে গলাকাটা লাশ

১২

বাকৃবি রোভাররা সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব গঠনে কাজ করবে : বাকৃবি উপাচার্য

১৩

আলু বীজের সংকটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

১৪

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়াল

১৫

এইচএসসি পাসে চাকরি দিচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক

১৬

শীত নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

১৭

আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা তুলে নিলেন ছাত্রদল নেতা

১৮

কুষ্টিয়ায় ভুয়া ডাক্তারকে জেল ও জরিমানা

১৯

আজ টিভিতে যেসব খেলা দেখা যাবে

২০
X