কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ০৫:৪৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

স্নেক আইল্যান্ডে ঢুকলেই হয়ে যাবেন সাপের খাবার

স্নেক আইল্যান্ডে ঢুকলেই হয়ে যাবেন সাপের খাবার

ব্রাজিলের সাওপাওলো শহর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত একটি দ্বীপ, যে দ্বীপকে পৃথিবীর ভয়ংকর এবং মারাত্মক দ্বীপ বলা হয়। বিশ্বের ভয়ংকর সব বিষাক্ত সাপের বাস এই দ্বীপে। যেখানে গেলে কেউ আর বেঁচে ফিরতে পারবে না বলে অনুমতিও দেওয়া হয় না।

প্রায় ১১ হাজার বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানে ব্রাজিলের মূল ভূ-ভাগ থেকে দূরে এটিকে এক দ্বীপে পরিণত করে। স্থানীয়ভাবে দ্বীপটি ইলহাদা কুইমাদা গ্রান্দে নামে পরিচিত। প্রায় ২০ মাইল দীর্ঘ দ্বীপটিতে শুধু সাপেরই বসবাস। পৃথিবীর অন্যান্য বিষাক্ত সাপগুলি হাজার হাজার সংখ্যা আছে এখানে।

দ্বীপটিতে পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক এবং বিষধর সাপের মধ্যে অন্যতম পিট ভাইপার। যার প্রধান আবাসস্থল এই দ্বীপ। সাধারণ বিষধর সাপের থেকে এই সাপ কয়েকগুণ বেশি বিষধর হয়ে থাকে।

বলা হয় এই দ্বীপটিতে ৪ লাখের বেশি সাপ হয়েছে। কিন্তু এতো সাপ এখানে আসলো কিভাবে? জনশ্রুতি আছে, শত বছরের বেশি সময় আগে, জলদস্যুরা লুট করা স্বর্ণ এবং অর্থ এই দ্বীপে লুকিয়ে রাখতেন। কেউ যাতে সেগুলো হাত দিতে না পারে এজন্য কয়েকটি বিষাক্ত সাপ দ্বীপে ছেড়ে দিয়েছিলেন তারাই। সেই সোনার লোভে বারেবারেই সেখানে গেছে মানুষ। কিন্তু শোনা যায়, তারা কেউই ফেরেনি।

আস্তে আস্তে গোটা দ্বীপ সাপে ভরে যায়। এরপর থেকে হয়ে যায় স্নেক আইল্যান্ড। ব্রাজিলের সাওপাওলোবাসীর কাছে দ্বীপটি সাপের দ্বীপ বা আইল্যান্ড অফ স্নেক নামেই পরিচিত। হাজার হাজার পিট ভাইপার থাকা এই দ্বীপে স্থলচর প্রাণী একেবারে নেই বলা যায়। পরিযায়ী পাখি এবং সাগরীয় পক্ষীসমূহ এখানে অবতরণ করলেই সাপগুলোর খাদ্য হয়ে যায়‌।

দ্বীপটিতে সরকারিভাবে কোনও মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। জাহাজের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই দ্বীপটিতে একটি লাইট হাউস তৈরি করা হয়েছিল ১৯০৯ সালে। এরপর থেকে অটোমেটিক সিগন্য়াল ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে পর্যন্ত দু-একজনের বসবাস। তারপর থেকে একেবারে জনমানব শূন্য দ্বীপটি।

বিশ্ববাজারে পিট ভাইপার নামের বিষাক্ত এই সাপের চাহিদা থাকায় চোরা কারবারিরা বেশ তৎপর। তবে সাধারণ মানুষ যাওয়ার সাহস করে না কখনো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X