সশস্ত্র গ্যাং নির্মূলে হাইতিতে বাহিনী পাঠাতে চায় বাংলাদেশ। দেশটিতে গ্যাং সন্ত্রাসীরা সরকার পতনের হুমকি দিয়ে আসছে। এ ছাড়া সম্প্রতি দুটি কারাগারে তারা হামলা চালিয়েছে। এতে হাজারো বন্দি পালিয়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিখ গত বৃহস্পতিবার জানান, গ্যাংদের বিরুদ্ধে মোকাবিলায় হাইতির পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য বহুজাতিক বাহিনী গঠনের প্রচেষ্টা চলছে। এতে অংশগ্রহণের আগ্রহ জানিয়েছে বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশ। এসব দেশ জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। এ দেশগুলো হলো বাহামা দ্বীপপুঞ্জ, বার্বাডোজ, বেনিন, সাদ ও বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেন, বহুজাতিক এ গোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য ১০ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাস্টে আরও ৭৮ মিলিয়ন ডলার দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
হাইতির সরকার প্রায় দেড় বছর আগে গ্যাং সন্ত্রাসীদের নির্মূলে জাতিসংঘের কাছে সহযোগিতা চায়। এরপর গত অক্টোবরে দেশটিতে মিশন পরিচালনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অনুমতি দেয়।
হাইতি বেশ আগে সহযোগিতা চাইলেও এটি অনেক দেরি হয়েছে। দেশটিতে মিশন পাঠাতে নেতৃত্ব দানকারী কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। যদিও গত বছর কেনিয়া এগিয়ে আসে। তারা হাইতিতে এক হাজার পুলিশ পাঠানোর কথা জানায়। তবে পরবর্তীতে এটি দেশটির আদালত অবৈধ ঘোষণা করে।
ওই সময়ে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুট্রো এ পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার কথা জানান। তবের পরে তিনি আর জাতিসংঘ মহাসচিবকে এ বিষয়ে কিছু জানাননি।
মুখপাত্র বলেন, বহুজাতিক এ বাহিনী গঠনে বেনিন দেড় হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাংলাদেশসহ অন্যরা কতজন সদস্য এ বাহিনীর জন্য পাঠাবে তা তিনি জানাননি।
মন্তব্য করুন