তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের একমুহূর্তও চলে না। এটি এখন শুধু যোগাযোগেরই মাধ্যম নয়, দৈনন্দিন জীবনের নানান কাজেও আমরা ব্যবহার করি অতিপ্রয়োজনীয় এই ডিভাইস। অনেক সময় সেই মোবাইল ফোন বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগার মতো ঘটনাও ঘটছে।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়- এক তরুণীর প্যান্টের পেছনের পকেটে রাখা ছিল ফোন। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায় তার প্যান্টে। ব্রাজিলের আনাপোলিস এলাকার একটি সুপারমার্কেটে এই ঘটনা ঘটেছে।
সুপারমার্কেটে স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। আগুন লাগার পর ভয়ে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি। তখন তার স্বামী সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবুও ওই তরুণীর হাত, পিঠ এবং কোমরের বেশকিছু অংশ পুড়ে গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের প্রথম কারণ হলো- মোবাইল ফোন অপ্রয়োজনে চার্জ দেওয়ার অভ্যাস কিংবা ফুল চার্জ হওয়ার পরও বিদ্যুতের কানেকশন বন্ধ না করলে ফোনে বিস্ফোরণ ঘটে। মূলত ব্যাটারিতে অতিরিক্ত চার্জ প্রবেশ করলে ব্যাটারি ফুলে গিয়ে তা যে কোনো সময় বিস্ফোরিত হয়।
দ্বিতীয় কারণ হলো- নির্মাতা কোম্পানির ভুলে মোবাইল ফোনে যদি একাধিক ত্রুটি থাকে। তাহলে সেই ত্রুটির কারণেই ফোনের ভেতরে থাকা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির বিস্ফোরণ ঘটায়। সাধারণত নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহৃত হলে শট সার্কিট হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই রাতে মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবে দীর্ঘক্ষণ ফোন চার্জে থাকার কারণে ফোনের অভ্যন্তরের বিদ্যুৎ পরিবাহী সার্কিটগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর তাতে বাড়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকি।
সারাক্ষণ ফোন ব্যবহার করাতেও যে কোনো সময় ফোনের বিস্ফোরিত হতে পারে। কারণ ফোনের র্যাম ও প্রসেসর যতই ভালো হোক না কেন, তারও ক্ষমতার একটি সীমা আছে। একাধিক কাজ একই সঙ্গে করলে এবং দীর্ঘ সময় একটানা ব্যবহারে মোবাইল ফোনে চাপ পড়ে। আর তাতেই ফোন গরম হয়ে ফেটে যেতে পারে। তাই মোবাইল ফোনের হঠাৎ বিস্ফোরণ ঠেকাতে এসব বিষয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
মন্তব্য করুন