ভেনেজুয়েলায় বিরোধীদলীয় প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়ার কাছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়েছেন। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ব্রায়ান নিকোলস এ মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম লে মনডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভেনেজুয়েলার জাতীয় নির্বাচনী পরিষদ (সিএনই) এখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীদলের দাবি যে তাদের নেতা এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়ার কাছে মাদুরো পরাজিত হয়েছেন। আর সেই দাবিকেই সমর্থন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাস এ মন্তব্য করেছেন।
জানা গেছে, গত রোববার দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ভোটের বিস্তারিত প্রকাশ না করেই ক্ষমতাসীন মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে সিএনই। এরপর দেশটির বিরোধীরা ভোটের বিস্তারিত প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। বিভিন্ন দেশের সরকারও একই আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার (৩১ জুলাই) লাতিন আমেরিকার আঞ্চলিক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকেও সিএনই কেন ভোটের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
নিকোলাস বলেন, জবাব পরিষ্কার। তারা হয়ত জানে, সত্য ফলাফল প্রকাশ করলে তাতে এডমান্ডো গঞ্জালেজ জয় পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে। এজন্য ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে না। অথবা তারা হানে যে সত্যিকারের ফলাফলে এমান্ডোর জয় নিশ্চিত করবে। ফলে সিএনইর অসত্য অনুমানের সমর্থনে মিথ্যা ফলাফল তৈরি করতে সময় লাগছে।
ইতোমধ্যে ভেনেজুয়েলার বিরোধীপক্ষ ভোটের ফলাফলসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি প্রকাশ করেছে। নিকোলস এগুলোর স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের সত্যিকারেরই ভোট এগুলো। এডমান্ডো নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে মাদুরো ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৬১ বছর বয়সী সমাজতন্ত্রী মাদুরো ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশটির জিডিপি এ সময়ে ৮০ শতাংশ কমেছে। ফলে দেশটির তিন কোটি জনসংখ্যার ৭০ লাখের বেশি অন্যদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
মন্তব্য করুন