পাকিস্তানের রাজনীতিতে অনেকটা বীরের মতো উত্থান ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। পদত্যাগ করার পরেও কথাবার্তা, চলাফেরায় ছিল ক্ষুরের মতো ধার। তাই তো তাকে জেলে ঢুকিয়ে নির্বাচন করে নওয়াজ শরিফের দল। এমনকি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও ভেঙে যাননি তিনি। আবারও নতুন করে রাজনীতির মাঠে নামার কৌশল আঁকছেন।
শুক্রবার (০৭ জুন) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জিও নিউজ জানায়, দলের নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের সংসদের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান। অপরদিকে সংসদের ভেতরের আইনপ্রণেতারা ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
একদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য হাজির হয়েছিলেন ইমরান খান। সেখানে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলেন তিনি। এরপরই পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরানের কাছ থেকে এসব সিদ্ধান্ত আসে।
শোনা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা পরামর্শ দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সমস্যা সমাধানে সাহায্যের জন্য ইমরান খানকে সংসদে যাওয়া উচিত। কারণ দেশকে রাজনীতির জটিল সমীকরণ থেকে বের করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
জিও নিউজ জানায়, রাজনৈতিক উত্তেজনা কমিয়ে দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার বিষয়ে সরকারকে সহায়তায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিটিআই নেতারা। দলটি সিনেট এবং জাতীয় পরিষদের কমিটিসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে সব দলের মধ্যে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছেন ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা। ৯৩ আসনে জয় পান তারা। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি ইমরানের প্রার্থীরা। পরে বিলওয়াল ভুট্টোর পিপিপির সাথে সমঝোতায় গিয়ে জোট করে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন।
মন্তব্য করুন