পাকিস্তানে নির্বাচনের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনো সরকার গঠন চূড়ান্ত হয়নি। তবে জোটবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দল পিএলএম-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ) এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এবার তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পিটিআই জানিয়েছে, জাতি জনগণের রায় চুরি করা সরকার মেনে নেবে না। তাদের অভিযোগ, পিএমএল-এন ও পিপিপি জনগণের রায় চুরি করেছে। জাতি ‘পিডিএম ২.০’ মেনে নেবে না।
পাকিস্তানের কয়েকটি রাজনৈতিক দল মিলে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের একটি জোট গঠন করে। এ জোটে মূল ভূমিকায় ছিল পিএমএল-এন ও পিপিপি। তাদের অনাস্থা ভোটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
পিটিআইয়ের অভিযোগ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রে সমর্থন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে সংবিধান ও দেশের আইন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এই গোষ্ঠীকে জাতি প্রত্যাখ্যান করছে। কিন্তু তারা আবার একসঙ্গে হয়ে নতুন নাটক পিডিএম ২.০ মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে বলেও দলের এক মুখপাত্র সমালোচনা করেছেন।
মুখপাত্র বলেন, কারাবন্দি হয়েও ইমরান খান পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে কেন্দ্র, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সরকার গঠনের বার্তা দিয়েছেন। দলের নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট ছিনিয়ে নেওয়া এবং নানাভাবে বাধা দিয়েও তাদের দমিয়ে রাখা যায়নি।
তিনি বলেন, এটা সবচেয়ে ভালো সময় ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার এবং জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান জানানোর। জনরায় না মানায় পাকিস্তানকে ঢাকার পতনের মতো দুঃখজনক ঘটনার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, যারা পাকিস্তানকে বিভাজিত করেছিল তাদের উত্তরসূরিরা আবার সক্রিয় হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের রায়কে তারা পদদলিত করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের মানুষ ভোট চুরি এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করার কোনো চেষ্টা সহ্য করবে না। পিটিআই জনগণের রায় চুরির সব চেষ্টা বানচাল করেছে।
মন্তব্য করুন