সম্প্রতি সিন্ধু প্রদেশে একটি সদ্য স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে করপোরেট ফার্মিংয়ের রাজ্যে প্রবেশ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। করপোরেট ফার্মিং চালু করতে সিন্ধু সরকার ও মেসার্স গ্রিন করপোরেট (প্রাইভেট) লিমিটেডের মধ্যে একটি সরকার-থেকে-সরকার যৌথ উদ্যোগের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে পাঞ্জাবের তিন জেলার প্রায় সাড়ে চার হাজার একর জমি ২০ বছরের জন্য ইজারা নেয় সেনাবাহিনী। দেশটির সংবাদমাদ্যম দ্য নিউজ এবং জিও নিউজের প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চুক্তির অংশ হিসেবে ৫২ হাজার ৭১৩ একর পরিমাণ জমি ২০ বছরের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে ইজারা দেওয়া হবে। এসব জমির দেখা-শোনা, পরিচর্যা থেকে শুরু করে কৃষিকাজের নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেনাবাহিনীর হাতেই। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব জমির মালিকানা সিন্ধু সরকারের কাছেই থাকবে। এই উদ্যোগটি স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কাউন্সিলের (এসআইএফসি) ছত্রছায়ার অধীনে চালু করা একটি প্রকল্পের অংশ।
এসআইএফসি মূলত দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি পরিকল্পনা। এই প্রকল্পের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসকরা প্রায় ৫২ হাজার ৭১৩ একর পরিমাপের অনুর্বর জমি চিহ্নিত করেছেন। যার মধ্যে ২৮ হাজার একর খায়রপুর, ১০ হাজার একর থারপারকার, ৯ হাজার ৩০৫ একর দাদুত, ১ হাজার একর ঠাট্টা, ৩ হাজার ৪০৮ একর সুজাওয়াল এবং এক হাজার একর বাদিন অঞ্চলে রয়েছে।
চুক্তির অধীনে, গ্রিন করপোরেট ইনিশিয়েটিভ নিট লাভের ২০ শতাংশ স্থানীয় এলাকায় গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় করবে। ৪০ শতাংশ সরাসরি সিন্ধু সরকারের কাছে যাবে। লাভের অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ স্থানীয় অবকাঠামো, সেচ চ্যানেল, সৌরচালিত পানি সরবরাহ স্কিম, স্কুল, হাসপাতাল, উন্নয়ন প্রকল্প এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলোতে ব্যয় করা হবে।
মন্তব্য করুন