তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের সাজা স্থগিত হলেও এখনই মুক্তি মিলছে না। আরেক মামলায় তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালত। আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে অ্যাটক কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান খান। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার সাজা স্থগিত হলেও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলার শুনানির জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষ আদালত তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। গোপন তারবার্তার মামলায় আগামীকাল বুধবার (৩০ অগাস্ট) তাকে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাইফার বা তারবার্তায় একটি কূটনৈতিক নথি ছিল। ইমরান খানের দাবি, তিনি এই তারবার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, ওই তারবার্তায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সম্মিলিত বার্তা ছিল। এই একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও বিচারকাজ চলছে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানের সাজা স্থগিত করে বহুল প্রত্যাশিত রায় দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুখ ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির সমন্বয়ে গঠিক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গতকাল এ মামলায় তার সাজা স্থগিত আবেদনের ওপর শুনানি করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় রায় দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে রায় ঘোষণায় কিছুটা বিলম্ব হয়।
এর আগেও এ মামলায় গত শুক্রবার আরেক দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আমজাদ পারভেজ। তবে গতকাল তিনি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।
সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
মন্তব্য করুন