কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। এর পেছনে পাকিস্তানের সংযোগের অভিযোগ করে ভারত। এ নিয়ে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিকে আক্রমণ করে তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন ভারতের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান।
শিখর ধাওয়ান তার এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে লিখেছেন, ‘কার্গিলে আমরা তোমাদের হারিয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই তোমরা এতটা নিচে নেমে গেছ, আর কত নিচে নামবে? অযথা মন্তব্য করার পরিবর্তে নিজের দেশের উন্নতির জন্য মাথা খাটাও শহীদ আফ্রিদি। আমাদের ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ে আমাদের খুব গর্ব হয়। ভারত মাতা কি জয়! জয় হিন্দ!’
এর আগে শহীদ আফ্রিদির করা মন্তব্যের জেরে সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক্স-বার্তাটি দেন শিখর ধাওয়ান।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) জিওটিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের অবৈধভাবে অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় মানুষের প্রাণহানির জন্য আফ্রিদি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সে সঙ্গে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হামলারও নিন্দা করেন সাবেক এ তারকা খেলোয়াড়।
পর্যটক নিহতের ঘটনায় সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আফ্রিদির কণ্ঠে ছিল ভারতের প্রতি তীব্র ক্ষোভ। কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করায় নয়াদিল্লির সমালোচনা করে এই কাজটিকে দুর্ভাগ্যজনক এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভারত এই ঘটনার জন্য খুব তাড়াতাড়ি পাকিস্তানকে দায়ী করে ফেলেছে। ফলে অধিকৃত অঞ্চলে প্রাণহানির ঘটনা ভিন্ন মোড় নিয়েছে।
আফ্রিদি দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীকে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন। বলেন, আমাদের সমস্যাগুলোর একমাত্র সমাধান হলো সংলাপ; সংঘাতে কোনো লাভ নেই।
এ ছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ভারতের সরকার ও সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারত নিজের জনগণকে হত্যা করে, তারপর পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপায়।’
আফ্রিদি বলেন, ‘পেহেলগামে এক ঘণ্টা ধরে মানুষ হত্যা চলছিল, অথচ ৮ লাখ ভারতীয় সেনার কেউই ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। পরে যখন গেল, তখন দোষ চাপাল পাকিস্তানের ওপর।’
আফ্রিদি আরও বলেন, ‘কোনো দেশ বা ধর্ম সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না। ইসলাম কেবল শান্তির শিক্ষা দেয় এবং পাকিস্তান কখনোই এ ধরনের কাজকে সমর্থন করে না। বরং আমরা সবসময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।’
মন্তব্য করুন