পাকিস্তান আত্মরক্ষায় সক্ষম। পূর্ণ প্রস্তুতিতে আছে দেশটির সেনারা। সেনাপ্রধান অসিম মুনির এমন দৃঢ় ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির (পিএমএ) পাসিং আউট প্যারেডে দেওয়া ভাষণে অসিম মুনির সেনা প্রস্তুতি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আত্মরক্ষার জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। দেশের স্থিতিস্থাপকতা এবং শক্তি তার ইতিহাস ও ত্যাগের মধ্যে গভীরভাবে প্রোথিত।
তিনি বলেন, দ্বি-জাতি তত্ত্ব মুসলিম এবং হিন্দুদের মধ্যে পার্থক্যকে নির্দেশ করে। যা পাকিস্তানের পরিচয় এবং অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেছে।
জেনারেল মুনির উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের পূর্বপুরুষরা একটি পৃথক মুসলিম পরিচয়ের বিশ্বাসের দ্বারা দেশ গঠনের জন্য অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি আশ্বস্ত করেন, পাকিস্তানের জনগণ তাদের মাতৃভূমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। দেশকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিতে অটল সেনারা। পাকিস্তান যে কোনো বহিরাগত হুমকির মুখোমুখি হতে সক্ষম।
তিনি ভারতীয় মিডিয়া এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মের ইতিহাস বিকৃত করা বা পাকিস্তানের সৃষ্টির ভিত্তি পরিবর্তন করার যে কোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেন।
কাশ্মীর হামলার জেরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এর জেরে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় ইসলামাবাদও। এ নিয়ে কূটনৈতিক যুদ্ধ যখন চরমে তখন ভারতীয় রাজনীতিকরা সামরিক হস্তক্ষেপের উসকানি দিয়ে আসছেন। ফলে থেমে নেই পাকিস্তানও। বহিঃশত্রুর আক্রমণ রুখে দিতে নিজেদের প্রস্তুতির জানান দিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাপ্রধানের বক্তব্য এলো।
একই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার যে কোনো নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্তের জন্য তার দেশ উন্মুক্ত।
তিনি ভারতের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং মিথ্যাচারের ওপর ভিত্তি করে শোষণের ধরন অব্যাহত রেখেছে ভারত। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন