কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ব্যাপক পরিসরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ভারত। অভিযানের তৃতীয় দিনেই দেশটির সেনাবাহিনী বড় সফলতা পেল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাদের সঙ্গে এক বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি। তিনি ২২ এপ্রিল পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পেছনের ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম বলে অভিযুক্ত।
হামলাকারীদের চিহ্নিত ও নির্মূল করার অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযান এটি। সেনা সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বান্দিপোরায় একটি যৌথ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। সেনারাও পাল্টা গুলি শুরু করে।
বান্দিপোরায় দুপক্ষের এ গোলাগুলিতে লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) শীর্ষ কমান্ডার আলতাফ লালি নিহত হন। পহেলগামে ২৬ জন নিহতের ঘটনায় তার মদদ রয়েছে বলে ভারত দাবি করছে।
এদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী শ্রীনগরে পৌঁছেছেন। সেখানে তাকে বান্দিপোরায় চলমান অভিযান সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি পরিস্থিতির একটি বিস্তৃত নিরাপত্তা পর্যালোচনা করবেন এবং পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পিছনে সন্দেহভাজন লস্কর-ই-তৈইয়বা সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে অভিযানের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবেন।
আরেক ঘটনায়, পহেলগাম হামলায় জড়িত বলে সন্দেহ করা দুই সন্ত্রাসীর বাড়ি শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিজবেহারায় লস্কর সন্ত্রাসী আদিল হুসেন থোকারের বাসভবনটি আইইডি ব্যবহার করে উড়িয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে ত্রালে আসিফ শেখের বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বৈসারান উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের হামলার পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় আদিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন। কেবল এই সন্দেহের বশেই তার বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন