পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদে ইসলামাবাদের মদদ দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তান খুবই ক্ষুব্ধ। তারা বলেছে, ভারত পানি প্রত্যাহারের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ জাতীয় শক্তির প্রয়োগ করা হবে। এ সিদ্ধান্তের ভালো-খারাপ দিক নিয়ে ভারতে ব্যাপক আলোচনা চলছে। চুক্তিটি স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন ভারতীয় মুসলিম নেতাও।
কাশ্মীরের পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার কর্তৃক ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। বৈঠক শেষে ওয়াইসি সাংবাদিকদের বলেন, এটা খুবই ভালো যে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু আমরা পানি কোথায় রাখব? কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন আমরা সমর্থন করব, এটি কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নয়।
সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার প্রশংসায় মেতে ওয়াইসি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়দানকারী দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন আমাদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য বিমান ও নৌ অবরোধ করার এবং অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমতি দেয়।
এদিকে বিশ্লেষকদের বরাতে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, ভারতের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। দেশের কৃষিপ্রধান অর্থনীতির প্রায় ৯০% সিন্ধু নদের পানিতে সেচ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। দিল্লি খুব ভালো করে জানে, পানির ঘাটতি ফসলের উৎপাদনকে প্রভাবিত করবে যা ফলস্বরূপ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করবে এবং পাকিস্তানে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করবে। এসব জেনেই ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন