কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় পর্যটক নিহতের ঘটনা ক্রমেই ভারত-পাকিস্তানের পুরোনো দ্বন্দ্ব সামনে আনছে। দুই দেশের কূটনৈতিক পাড়ায় বাড়ছে উত্তেজনা। হামলার দায় স্বীকার করা গোষ্ঠীকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানপন্থি বলে জোর প্রচার চলছে। চাপা উত্তেজনায় এবার আরেকটি সংবাদ দেশটিতে গুরুত্ব পাচ্ছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার দিন তুরস্ক সফরে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু তোলেন। এরদোয়ান ওই বৈঠকে পাকিস্তানকে সমর্থন জানালে শাহবাজ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর আঙ্কারায় এরদোয়ানের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন শরিফ। তিনি কাশ্মীরের প্রতি তুরস্কের অটল সমর্থনের জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অপরদিকে এরদোয়ান সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাকিস্তানের প্রচেষ্টার প্রতি তুরস্কের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রথম ঘটনা নয়। ফেব্রুয়ারির শুরুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসলামাবাদ সফরের সময় কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানান এবং জাতিসংঘের সাথে সংলাপের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স নামের গোষ্ঠীটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা এক বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক নতুন বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, লক্ষ্যবস্তু করা ব্যক্তিরা সাধারণ পর্যটক ছিলেন না। বরং তারা ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের হয়ে কাজ করছিলেন।
এদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে গিয়েই তিনি হামলাকারীদের ধ্বংসে ব্যবস্থা নেওয়ার হুংকার দিয়েছেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) কাশ্মীরের শহর শ্রীনগরে আগের দিন হামলায় নিহতদের মরদেহ আনা হয়। অমিত শাহ সেখানে পৌঁছে নিহত ২৬ জনের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সেখানে তিনি বেঁচে যাওয়াদের সঙ্গেও দেখা করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, এই কাপুরুষোচিত ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসী হামলার শিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
এ সময় অমিত শাহ হুংকার দিয়ে বলেন, ‘ভারত সন্ত্রাসের কাছে নতি স্বীকার করবে না, অপরাধীরা রেহাই পাবে না।’
মন্তব্য করুন