মাঝআকাশে বাংলাদেশি এক নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঢাকাগামী একটি বিমান পাকিস্তানে জরুরি অবরতণ করেছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইদুবাইয়ের একটি বাণিজ্যিক বিমান শুক্রবার ভোরে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানে থাকা এক বাংলাদেশি নারীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে এই জরুরি অবতরণ করা হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন উড়োজাহাজটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটিও ধরা পড়ে, যার ফলে ১৫৯ যাত্রীকে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে থাকতে হয়।
জানা গেছে, ফ্লাইদুবাইয়ের ফ্লাইট নম্বর এফজেড-৫০১ দুবাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে রাত ১টায় যাত্রা শুরু করে। ভোর ৩টার দিকে বিমানটিতে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী শ্রীমতি বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্যাপ্টেন করাচি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২০ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে। পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (পিএএ) মেডিকেল টিম দ্রুত বিমানে পৌঁছে রোগীকে করাচির আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসা জরুরি অবস্থা সামাল দেওয়ার পর ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে বিমানটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ে। এ কারণে যাত্রীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সবাইকে ট্রানজিট লাউঞ্জে স্থানান্তর করা হয়। ফ্লাইদুবাই দ্রুত দুবাই থেকে একটি প্রতিস্থাপন ককপিট ক্রু ও টেকনিক্যাল টিম পাঠায়। মেরামত ও নিরাপত্তা পরীক্ষা শেষে বিমানটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
বিমানের এক যাত্রী জানান, প্রথমে একজন অসুস্থ হলে আমরা বুঝতেই পারিনি পরিস্থিতি এতটা জটিল হবে। পরে বিমানেও ত্রুটি ধরা পড়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। বিমানবন্দরে খাবার ও পানির ব্যবস্থা ছিল, তবে অস্বস্তিকর ছিল অপেক্ষা।
পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (পিএএ) মুখপাত্র জানান, জরুরি পরিস্থিতি ও প্রযুক্তিগত সমস্যা সামাল দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের জন্য ক্ষমা চেয়েছে ফ্লাইদুবাই কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় ফ্লাইদুবাইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। দুর্ঘটনাজনিত এই বিলম্বের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
মন্তব্য করুন