পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য প্রচেষ্টার কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ মার্চ) ভোরে পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স (পিডব্লিউএ)-এর সদস্যরা এ ঘোষণা দেন। খবর আনাদোলু এজেন্সি।
উল্লেখ্য, পিডব্লিউএ, যা গত ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এবং নরওয়েজিয়ান রাজনৈতিক দল পার্টিয়েট সেন্ট্রামের সদস্য। তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তার কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।
ইমরান খানের কাজ দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এর আগে, ২০১৯ সালে, তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্যও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
প্রতি বছর, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শত শত মনোনয়ন গ্রহণ করে এবং দীর্ঘ আট মাসব্যাপী প্রক্রিয়া শেষে বিজয়ী নির্বাচন করে।
ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দি। চলতি বছরে জানুয়ারিতে, তাকে কর্তৃত্বের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এই মনোনয়ন আন্তর্জাতিকভাবে ইমরান খানের মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকারের মূল্যায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও তিনি বর্তমানে পাকিস্তানে কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
মন্তব্য করুন