ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পাকিস্তান দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের ‘জন্মভূমি’ হিসেবে উল্লেখ করার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে ভারতের সেনাপ্রধানের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায় এবং প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীকে রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকার আহ্বান জানায়। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের সেনাপ্রধান পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ‘জন্মভূমি’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, জম্মু ও কাশ্মিরে পাকিস্তান অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তিনি দাবি করেন, গত বছর কাশ্মিরে নিহত ৬০ শতাংশ জঙ্গি পাকিস্তানি নাগরিক ছিল।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের সেনাপ্রধানের বক্তব্য বাস্তবতা বিবর্জিত এবং এটি ভারতের অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের জন্মভূমি হিসেবে উল্লেখ করে তারা দাবি করে, যেখানে নিজ দেশেই জনগণের ওপর নির্যাতন চলছে, সেখানে প্রতিবেশী দেশের ওপর দোষ চাপানো দ্বিচারিতার উদাহরণ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতীয় বর্তমান সেনাপ্রধান যখন জম্মু ও কাশ্মিরে কর্মরত ছিলেন, সে সময় কাশ্মিরিদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন চালানো হয়। সম্প্রতি তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং ভারতের সেনাবাহিনীতে যে রাজনীতি ব্যাপকভাবে প্রবেশ করেছে- সেনাপ্রধানের বক্তব্য তারই প্রতিফলন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী সন্ত্রাস দমনের নামে নিরস্ত্র কাশ্মিরীদের ওপর অত্যাচার করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে উল্লেখ করে বিবিৃতিতে বলা হয়, কাশ্মিরীরা আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চায়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও রেজোল্যুশনের মাধ্যমে এ অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কাশ্মিরীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ধূলিস্যাৎ করতেই জম্মু-কাশ্মিরে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
শেষে আইএসপিআর জানায়, ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা পাকিস্তানের হেফাজতে আছেন, যিনি পাকিস্তানে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে ভারতীয় সেনাপ্রধান এই গুরুতর সত্যটি উপেক্ষা করেছেন বলে দাবি করা হয়।
মন্তব্য করুন