পাকিস্তানের অত্যাধুনিক জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং এই যুদ্ধবিমানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা প্রতিনিধিদল পাকিস্তান সফর করেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রাজধানী ইসলামাবাদের বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান উভয়পক্ষ সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের বিমানবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের এ প্রতিনিধিদলটি পাকিস্তান এয়ার ফোর্সের প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিধুর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষভাবে পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানের উৎপাদনে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাংলাদেশকে আরও যৌথ প্রশিক্ষণ এবং সামরিক সহযোগিতার সুযোগ বৃদ্ধির কথা বলেন।
এ ছাড়াও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার উপর বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি মাল্টি-রোল ফাইটার জেট, যা বিভিন্ন ধরনের হামলা পরিচালনা করতে সক্ষম। এটি পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) এবং চীনের চেঙ্গদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে।
এ যুদ্ধবিমানটি দিন ও রাতে অভিযান চালানো, ডগফাইট এবং প্রতিপক্ষের আকাশসীমায় ঢুকে গুপ্তচর তথ্য সংগ্রহের মতো কাজ করতে পারে। এ যুদ্ধবিমানটির ওজন তুলনামূলকভাবে কম, ফলে এটি সহজেই দ্রুত গতিতে অপারেট করতে সক্ষম। এটি পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশের সামারিক বাহিনীর বহরে জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানটি যুক্ত হলে এটি একটি আকর্ষণীয় সামরিক শক্তি হতে পারে।
মন্তব্য করুন