পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ছুড়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
এতে মুহূর্তে সমাবেশস্থল ইসলামাবাদের ডি-চক জনশূন্য হয়ে গেছে। এর আগে বহু বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীদের ছোট একটি দল ডি-চকে অবস্থান নেন। তারা ইমরান খানের মুক্তি ছাড়া সমাবেশস্থল ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা সেখানে রাখা কার্গো কনটেইনারে উঠে পড়েন। পিটিআই সমর্থকরা সেখানে পতাকা উড়তে থাকেন। কেউ কেউ সড়কে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
আল জাজিরা জানায়, বিক্ষোভকারীদের ডি-চক থেকে দূরে রাখতে রেঞ্জাররা তাজা বুলেট ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়েছে। ধোয়াচ্ছন্ন হয়ে গেছে পুরো এলাকা।
রেঞ্জারদের পদক্ষেপের পর মুহূর্তে ডি-চক খালি হয়ে গেছে। বিক্ষোভকারীরা আশপাশের গলি দিয়ে সটকে পড়েছেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
এদিকে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে বৃহত্তর গাড়ি বহর ডি-চক থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আধা সামরিক বাহিনীর গুলি ছোড়ার খবরে গাড়িবহরটির গতি কমিয়ে দিয়েছেন তারা।
ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকে এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এতে রাজধানী ইসলামাবাদসহ পাকিস্তানের অন্যান্য শহরও উত্তাল।
বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন আধা সামরিক রেঞ্জার ও দুই পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
তবে এপি নিউজ এজেন্সি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। একটি গাড়ি সড়কে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দিলে তিনি নিহত হন।
মন্তব্য করুন