পাকিস্তানে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারাগার থেকে তার এ ডাকে অচল হয়ে পড়েছে দেশটি। রাজধানী ইসলামাবাদের সঙ্গে সকল সড়কপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, এটি হবে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের ভাগ্য নির্ধারণের কর্মসূচি।
ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং বিভিন্ন দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পিটিআইয়ের দেশব্যাপী চূড়ান্ত বিক্ষোভকে সামনে রেখে নিরাপত্তা উদ্বেগপূর্ণ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামাবাদের অভিমুখী মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদের বেশিরভাগ প্রধান সড়ক কনটেইনার দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্টে যাতে পৌঁছতে না পারে সে জন্য দাঙ্গা পুলিশ ও আধাসামরিক কর্মীদের বিশাল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনি বিধানের অধীনে যে কোনো ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পিটিআই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ তার সমস্ত নেতাদের মুক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে আসছে দলটি।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও ইমরান খানের অন্যতম সহযোগী আলী আমিন গন্দাপুর বলেন, আমাদের সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইমরান খান আমাদের সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সমাবেশ নিয়ে এক ভিডিওবার্তা দিয়েছেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। তার এ আহ্বানকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বিপজ্জনক হিসেবে দেখছেন। তারা সতর্ক করেছেন, এই বিক্ষোভ যদি সহিংসতায় রূপ নেয়, তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও গভীর হবে।
মন্তব্য করুন