ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করা ইসলামি আইনের পরিপন্থি বলে ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দেশটির ধর্মবিষয়ক সংস্থা কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি এই ঘোষণা দেয়। খবর ডন-এর।
সংস্থাটি বলেছে, ভিপিএন প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে। এসব ওয়েবসাইটের কনটেন্ট অশ্লীল এবং এগুলো ইসলামিক আইন অনুসারে নিষিদ্ধ!
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাগিব নাঈমির বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এইসব নিষিদ্ধ কনটেন্টের মধ্যে বহু অনৈতিক বিষয় এবং বিভিন্ন পর্ন ওয়েবসাইট পর্যন্ত রয়েছে। এসব অবৈধ বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকার নিতে ভিপিএন ব্যবহার করা ইসলামিক ও সামাজিক নিয়মের পরিপন্থি। আর তাই ইসলামিক আইনের অধীনে তা ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিষদ বলছে, ইন্টারনেট পরিষেবাসহ যে কোনো প্রযুক্তি, যা ব্যবহার করে অনৈতিক এবং বেআইনি বিষয়ের নাগাল পাওয়া যায়, সেসবই আদতে ইসলামিক আইন ও নীতি অনুসারে নিষিদ্ধ!
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি’ বা পিটিএ-কে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে তারা অবিলম্বে সমস্ত বেআইনি ভিপিএন ব্লক করে দেয়। কারণ, সন্ত্রাসবাদীরা ওইসব ভিপিএন ব্যবহার করেই নাশকতা ছড়াচ্ছে।
সেই চিঠিতে লেখা হয়, সন্ত্রাসবাদীরা নাশকতা চালানোর জন্য এবং আর্থিক লেনদেন করতে ভিপিএন-এর ব্যবহার বাড়িয়েছে। পাশাপাশি, ভিপিএন ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি ছড়ানো হচ্ছে বলেও ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। এরপরই দেশটির অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি এলো।
মন্তব্য করুন