পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লাখো মুসল্লি সালাতুল ইসতিসকা বা বৃষ্টির নামাজ আদায় করেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাষ্ট্র পরিচালিত পাঞ্জাবের ৬০০টির বেশি মসজিদে এ নামাজ আদায় করা হয়। এতে লাখো মুসল্লি অংশ নেন।
প্রাদেশিক ধর্ম বিষয়ক বিভাগের মুখপাত্র তালহা মাহমুদ রয়টার্সকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে মসজিদগুলোতে জড়ো হন। এবার আনুষ্ঠানিকতা হলেও বিষয়টি নতুন নয়। তারা প্রায় দুর্যোগের সময় বৃষ্টির জন্য স্বেচ্ছায় প্রার্থনার আয়োজন করেন।
প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরের একটি মসজিদে নামাজের ইমামতি করেন ৪৮ বছর বয়সী মুহম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, আমরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছি। ধোঁয়া-দূষণ কমানোর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। এ পরিস্থিতি মানুষের নিজের ভুলের কারণে হয়েছে। মানুষের পাপমুক্তির আশায় আমরা আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশের বায়ুদূষণ রোধে দেশবাসীর প্রতি সালাতুল ইসতিসকা বা বৃষ্টির নামাজ পড়ার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবাসীকে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া শুষ্ক আবহাওয়ায় চলমান সংকট মোকাবিলায় সৃষ্টিকর্তার বিশেষ অনুগ্রহ চাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশবাসীকে সালাতুল ইসতিসকা পড়ার অনুরোধ করছি এবং বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে আন্তরিকভাবে অনুরোধ। ধর্মীয় পণ্ডিত এবং সুফি নেতাদের এ নামাজের জন্য ভূমিকা পালন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য উপকারিতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি পরিবেশের উন্নতি এবং রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। অনাবৃষ্টির কারণে এসবের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এছাড়া বৃষ্টি মানুষের স্বস্তি এবং চলমান দুর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবে।
প্রসঙ্গত, বায়ুদূষণে নাকাল পাকিস্তান। শুক্রবারও বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের শহর লাহোর। নানা পদক্ষেপেও দেশটিতে বায়ুদূষণ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তাই তাৎক্ষণিক সমাধান হিসেবে বৃষ্টির আশায় আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছেন বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের পর এ প্রার্থনা আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন