আদালতে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান পাঁচ বছর রাজনীতি করতে পারবেন না। খবর জিও নিউজের।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে তোশাখানা মামলায় তার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মামলায় আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হুমায়ুন দিলাওয়ার এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : ইমরান খান গ্রেপ্তার
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি পাঁচ বছর রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না।
এর আগে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা উপহারের বিবরণ গোপনের অভিযোগ করে। এর ভিত্তিতে গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন : ইমরান খানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার বলেন, ‘এ মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি ইচ্ছা করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের কাছে জাল তথ্য দেন এবং দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এ জন্য তাকে নির্বাচন আইনের ১৭৪ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে আজকের রায় উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে আদালতের ভেতরে শুধু আইনজীবীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ইমরান বা তার আইনজীবীদের কেউ শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
তোশাখানা মামলা
ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই তোশাখানা দুর্নীতি মামলা দায়ের করে ইসিপি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তোশাখানা থেকে প্রাপ্ত উপহারের তথ্য ইসিপির কাছে ইচ্ছে করে গোপন করেছেন ইমরান। সাধারণত বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার তোশাখানায় রাখা হয়। পরে এ মামলায় গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন