এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও একসময়ের জনপ্রিয় ক্রিকেটার ইমরান খান। এই দীর্ঘ কারাবাসে থেকেও দেশটিতে ইমরান খানের প্রভাব কমেনি।
এখনো পাকিস্তানের বিরোধী রাজনীতির প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে ইমরান খানের নামই সবার আগে চলে আসে। এমনকি সংবাদপত্রে ও আদালতে তার নাম আসছে নিয়মিত। তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ইমরানের সমর্থকরা ‘অদম্য’।
জানা যায়, জনসম্মুখে আসতে না পারলেও সাবেক এই ক্রিকেট তারকার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে আসা অল্প কিছু মানুষ বহির্বিশ্বের কাছে তার বার্তা পৌঁছানোর একমাত্র দূত হয়ে উঠেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন ইমরানের পরিবার ও তার আইনজীবীরা।
গত বছরের ৯ মে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ৫০ বিলিয়ন রুপির বৈধতা দেয়ার বিনিময়ে কয়েক বিলিয়ন রুপি নেয়ার অভিযোগ উঠে ইমরান খান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাদের ।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টার থিংক ট্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান জানান, তার জেল থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি সহজ নয়। পর্দার আড়ালে পাকিস্তানের শক্তিশালী খেলোয়াড় হলো সামরিক বাহিনী। তারা যখন কোনো রাজনীতিবিদকে বন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তখন তারা সহজে নমনীয় হয় না। ইমরান খানের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন এক বিশ্লেষক।
তবে এ পরিস্থিতিতেও ইমরান খানের নির্দেশনাতেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটি বলছে, তারা ইমরান খানের নেতৃত্বই মেনে চলেন। তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলবেই।
মন্তব্য করুন