হজরত মুসাকে (আ.) কতটা পছন্দ করতেন আল্লাহ; তার প্রমাণ পাওয়া যায় কোরআন-হাদিসের বর্ণনায়। উল্লেখ আছে, একবার মুসা (আ.) ফেরাউনের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। ফেরাউনের জাদুকররা বিশাল বড় বড় বাঘ বানালেন, সাপ বানালেন। এসব দেখে মুসা (আ.) ভড়কে গেলেন, ভয় পেয়ে গেলেন। আল্লাহ বললেন, মুসা ভয় নেই তোমার লাঠিটা ফেলে দাও। মুসা (আ.) সেই লাঠিটি ফেলার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল বড় একটি অজগর সাপ হাজির হয়। সেই সাপ ফেরাউনের জাদুকরদের বানানো সব বাঘ, ভালুক, সিংহ, সাপকে খেয়ে বিশাল ফণা ধরে। এরপর সাপ বলতে থাকে, আর কী আছে নিয়ে আয়। এই দৃশ্য দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফেরাউনের রাজপ্রাসাদের সামনে যত বড় বড় জাদুকর ছিলেন তারা সবাই মুসা (আ.) এর সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সেজদায় লুটিয়ে পড়েন। সেজদায় লুটিয়ে পড়ে ঘোষণা দেন, তারা ফেরাউনকে মানেন না, কোনো নাস্তিককে মানেন না। তারা মুসার রব, হারুনের রব, বনি ইসরায়েলের রব আল্লাহর জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়েছেন। এ সেজদার কারণে তাদের হেদায়েত দান করেন মহান আল্লাহতায়ালা। ইসলামিক বক্তারা এই ঘটনার বর্ণনা করে বলেন, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ কাউকে হেদায়েত দান করতে পারেন না। বলেন, অনেকের বাবা ছিলেন নবী কিন্তু ছেলের কপালে হেদায়েত নেই। আবার অনেক ছেলে ছিলেন নবী কিন্তু বাবার কপালে হেদায়েত নেই। হেদায়েত দেওয়ার মালিক একজন। তিনি হলেন আল্লাহ। আবার কেবল একটি সেজদার আদেশকে অমান্য করার কারণে ইবলিস জাহান্নামিদের সর্দার হয়। আল্লাহ বললেন, ফেরেশতাকুল তোমরা আমার আদেশ মোতাবেক আদমকে সেজদা করো। সেই আদেশ শুনে সবাই সেজদা করল কিন্তু এক ইবলিস সেজদাহ করল না। সে অস্বীকার করল, অহংকার দেখাল। সঙ্গে সঙ্গে সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হলো। জাহান্নামিদের সর্দার বনে গেল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে নামাজ ও সেজদার বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর নৈকট্য পেতে তাকে আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন