সকল মানুষই চায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো থাকতে। আর ভালো ব্যবসার সুযোগ, উন্নত জীবনধারা, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবা খোঁজা ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে গোল্ডেন ভিসা ও পাসপোর্ট বেশ জনপ্রিয়।
২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৪টি দেশ গোল্ডেন ভিসা দিয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি অনুমোদন দিয়েছে গ্রিস, লাটভিয়া, পর্তুগাল আর স্পেন। তবে এই দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই এ স্কিম সীমিত করার দিকে আগাচ্ছে।
জার্নাল অব এথনিক অ্যান্ড মাইগ্রেশন স্টাডিজে প্রকাশিত ড. ক্রিস্টিন সুরাক ও ইউসুকে সুজুকির একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পর্তুগালের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ এসেছে গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে। এই অনুপাত লাটভিয়ার জন্য ছিল ১২ দশমিক ২ শতাংশ আর গ্রিসের জন্য তা ছিল সাত শতাংশেরও বেশি।
ধনী বিদেশি নাগরিকরাদের অর্থ বা সম্পদের বিনিময়ে বসতি স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার একটি প্রকল্প ২০২২ সালে সমাপ্তি ঘটায় যুক্তরাজ্য সরকার। পরের বছর আয়ারল্যান্ড দেশটির গোল্ডেন ভিসা ব্যবস্থা বাতিল করে। তবে পর্তুগাল বাতিল না করলেও এনছে বেশকিছু পরিবর্তন।
একটি গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার জন্য পানামার আবাসন খাতে বিনিয়োগ করতে হয় এক লাখ ডলার বা ২ কোটি ১৪ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ। লুক্সেমবার্গের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত আকারেও রাখা যায় জমা। যার বিনিময়ে মিলবে গোল্ডেন পাসপোর্ট। আর গোল্ডেন ভিসার মাধ্যমে সেদেশে কাজ করার পাশাপাশি দেয়ার সুযোগ থাকবে ভোট দেওয়ার। নাগরিক হিসেবে সব ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে এ ভিসার অধিকারী।
প্রায় ৬০টি দেশ দেয় গোল্ডেন ভিসা। সবচেয়ে বেশি ইস্যু করে তুরস্ক। বলা হয় নাগরিকত্বের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা এই দেশটি। গোল্ডেন ভিসাপ্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের একটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কারণ ইইউর কোনো একটি সদস্য দেশে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার পেলে শেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের অনুমতি পাওয়া যায়।
বিদেশিদের মধ্যে যারা চার লাখ ডলার বা তার বেশি মূল্যের আবাসন কেনে তুরস্ক থেকে তাদের গোল্ডেন পাসপোর্ট অফার করা হয়। এ ছাড়া লুক্সেমবার্গের কোনো কোম্পানিতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ডলার বিনিয়োগ করে নেওয়া যায় গোল্ডেন ভিসা।
মন্তব্য করুন