মুসলমানদের কাছে বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে বিশেষভাবে পবিত্র মাস রমজান। বিশেষ এই মাসে একসঙ্গে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে কঠোর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে থাকেন মুসলিমরা।
এমন পরীক্ষায় তাই স্বামী ডনতাইয়ের সঙ্গে উপোস থাকার মধ্য দিয়ে ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খ্রিষ্টান ধর্মানুসারী স্ত্রী কাওরি লিওনার্ড।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র ১৩ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক ডনতাই। পরিবারের একমাত্র মুসলিম সদস্য হিসেবে লন্ডনে বেড়ে উঠেছেন তিনি।
খালিজ টাইমসকে ডনতাই জানান, খুবই অল্প বয়সে ইসলাম গ্রহণ করার কারণে প্রথম দিকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতেন না তিনি। পরবর্তী সময়ে বুঝতে শেখার পর বাড়িতে ইচ্ছানুযায়ী ধর্মীয় ইবাদত, বিশেষ করে রমজান মাসে রোজা রাখতে পারতেন না, এমনকি তার ঘরে প্রায়ই শূকরের মাংস রান্না করা হতো যা ইসলামে নিষিদ্ধ ছিল।
ডনতাইয়ের স্ত্রী কাওরি জানান, স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এটি তার জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ।
তিনি বলেন, তার স্বামী যা ভালোবাসেন এবং অনুশীলন করেন তার অংশ হতে পারাটা আনন্দের। তার জন্য রমজান গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি ডনতাইয়ের এই অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো করতে চান। তার সঙ্গে রোজা রাখতে চান। এটি তাদের আরও বেশি কাছাকাছি নিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস কাওরির।
স্ত্রীর এমন সমর্থনের প্রশংসা করে ডনতাই জানান, তিনি খুব খুশি যে, তার স্ত্রী তার সঙ্গে উপোস থাকছে। তিনি কাওরিকে নিয়ে খুব গর্বিত।
জন্মগতভাবে কাওরি অর্ধেক ইতালীয় এবং অর্ধেক ভেনেজুয়েলার। প্রথম দিকে সারা দিন উপোস থাকা তার জন্য অনেক কঠিন একটি বিষয় ছিল।
কাওরি জানান, লন্ডনেও স্বামীর সঙ্গে তিনি একবার রোজা রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর শহরটির প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং স্বতঃস্ফূর্ততা বিষয়টিকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। ইফতারের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, দিনটি দ্রুত চলে যায়। রোজা ভাঙার মুহূর্তটিকে পুরস্কারের মতো মনে হয়।
মন্তব্য করুন