কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিন দেশের ভয়ে বিশ্বে বাড়ছে অস্ত্রের বেচাকেনা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গত পাঁচ বছরে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় অস্ত্র কেনার হার বেড়েছে। কয়েকটি দেশের কর্মকাণ্ডের জেরে এসব অঞ্চলে এ অস্ত্র বেচাকেনা বেড়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপে বেড়েছে অস্ত্রের কেনাকাটা। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালে ইউরোপের দেশগুলো দ্বিগুণ অস্ত্র কিনেছে। ইউরোপে অস্ত্রর বেচাকেনায় গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ইউক্রেন। এ সময় অস্ত্র কেনায় সারা বিশ্বে শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইউক্রেনের অবস্থান চতুর্থ।

এছাড়া গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানি হয়েছে এশিয়ার দেশগুলোতে, যা বিশ্বের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৩৭ শতাংশ। এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একজন জ্যেষ্ঠ গবেষকের ভাষ্য মতে, এর পেছনে বড় কারণ একটাই, আর তা হলো এশিয়ায় চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, এই সময়ে জাপান অস্ত্রের আমদানি আড়াই গুণ বাড়িয়েছে। অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে তারা ৪০০টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। যেসব ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়া ও চীনে আঘাত হানতে সক্ষম।

মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কাতার, মিসর ও সৌদি আরব। পরিমাণটা বিশ্বের মোট অস্ত্র আমদানির ৩০ শতাংশ। ওই জ্যেষ্ঠ গবেষক বলেন, ‘শুধু ইরানের ভয়েই এটা ঘটছে, তা নয়। এটা আসলে যুদ্ধকালীন অবস্থা।’ বিগত ১০ বছরে সৌদি আরব ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে অভিযান চালাতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

এ অস্ত্র কেনাবেচার পেছনে আঞ্চলিক বৈরী সম্পর্কও একটি কারণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যেমন, ২০১৭ সালে কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর কাতার অস্ত্রের আমদানি চারগুণ বাড়িয়েছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স থেকে অস্ত্র আমদানি করেছে।

বিষয়টি নিয়ে আমেরিকান কলেজ অব গ্রিসের ইতিহাসের অধ্যাপক কনস্তানতিনোস ফিলিস বলেন, পশ্চিমাদের মিত্র দেশগুলোর এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে যে, তাদের ওপর কোনো হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে কি না?নিজেরা সামরিকভাবে বলিয়ান না হলে তাদের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসবে না বলেও ভাষ্য দেশগুলোর।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কেরানীগঞ্জে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান

পাকিস্তানকে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র দিল চীন, উদ্বিগ্ন ভারত

‘হানিট্র্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়’ : বছরে ৩৫০০ কোটি খরচ পাকিস্তানের

‘আমরা সেই চোরাবালিতে ডোবার চেষ্টা করছি’

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফোরাম ফর ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ২০২৫’

‘আ.লীগ নামে কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারবে না’

এসএসসির নবম দিনে অনুপস্থিত ২৮ হাজার, বহিষ্কার ৩৪

দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

সব শর্ত মেনে আইএমএফের ঋণ নেওয়া হবে না : অর্থ উপদেষ্টা

জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করলেন আ.লীগ নেতা, ছবি ভাইরাল

১০

তিতাসে জেলের জালে ২৫ কেজির বোয়াল মাছ

১১

রিশাদকে ‘অনুপ্রেরণা’ মানেন জিম্বাবুয়ের মাসাকেসা

১২

আদালতে প্রিজনভ্যানে ওঠার আগেই পালাল ২ আসামি

১৩

দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ সরকার বন্ধ করতে বলেনি : তথ্য উপদেষ্টা

১৪

ধানমন্ডির কড়াই গোস্ত রেস্টুরেন্টের মালিককে দেড় বছরের কারাদণ্ড

১৫

কুমিল্লায় স্কুলছাত্রকে অপহরণের সময় যুবক আটক

১৬

‘আমরা কখনো ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের আন্দোলন করিনি’

১৭

ডিসেম্বর বা জুনের মধ্যে নির্বাচন চাইলেন জামায়াত আমির

১৮

কাশ্মীরে গ্রেপ্তার ও উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া

১৯

স্কুল ক্যাম্পে ছাত্রীদের গাড়িচাপা

২০
X