বড় বড় তামাক কোম্পানির বিভ্ন্নি ধরনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে ধূমপায়ী ও অন্যান্য তামাক সেবনকারী মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমেছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর ডয়েচে ভেলের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ সালে বিশ্বজুড়ে প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজন ধূমপান কিংবা অন্য তামাকজাত পণ্য সেবন করতেন। তবে ২০২২ সালে প্রতি পাঁচজনে একজন মানুষ ধূমপান কিংবা অন্য তামাকজাত পণ্য সেবন করেন। ২০০০ সালে ১৩৬ কোটি মানুষ ধূমপান কিংবা তামাকজাত পণ্য সেবন করলেও ২০২২ তা কমে ১২৫ কোটিতে নেমে আসে। এই সংখ্যাটা ২০৩০ সাল নাগাদ আরও কমে ১২০ কোটিতে নামতে পারে।
বিশ্বজুড়ে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমলেও ভিন্ন চিত্র দেখে গেছে কয়েকটি দেশে। এসব দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা উল্টো বেড়েছে। মিসর, জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে তামাকের ব্যবহার এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য উন্নয়নবিষয়ক পরিচালক ডা. রুডিগার ক্রেচ বলেছেন, গত কয়েক বছরে বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সময় নেই। অগণিত প্রাণের বিনিময়ে মুনাফা হাতিয়ে নিতে তামাক কোম্পানিগুলো কত দূর যেতে পারে তা দেখে আমি অবাক হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মুহূর্তে একটি সরকার মনে করে তারা মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতে গেছে তখনই সুযোগ নেয় তামাক কোম্পানি। তারা সরকারি নীতির পরিবর্তন করে প্রাণঘাতী পণ্য বিক্রি করে।
মাদকের ব্যবহার কমলেও এ সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা আগামী কয়েক বছর বেশি থাকবে বলেই সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাদকের কারণে মৃত্যুহার কমার জন্য তিন দশক অপেক্ষা করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধূমপানের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১৩ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে প্রাণ হারান।
মন্তব্য করুন