করোনা মহামারির পর থেকে হু হু করে বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার বিমানভাড়া। বর্তমানে এটি করোনার আগের অবস্থার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে গিয়ে ঠেকেছে। স্থানীয়রা বলছেন, সরকারের ছত্রছায়ায় বিমানের ভাড়া নিয়ে এ কারবারি চলছে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতমাসে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় কাতার এয়ারওয়েজ সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনার একটি নিলাম বাতিল করেছে। কাতার এয়ারওয়েজের বিপরীতে এ নিলামে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিমান সংস্থা কান্তাস অংশ নিয়েছে।
জানা গেছে, কাতার এয়ারওয়েজ দেশটি থেকে ইউরোপ, সিডনি, মেলেবোর্ন ও ব্রিসবনে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। নতুন করে ২১টি ফ্লাইট যুক্ত হলে দেশটিতে বার্ষিক ১০ লাখ অতিরিক্ত আসন যুক্ত হবে, যা বিমানভাড়া নিয়ে উত্তাপের মাঝে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করবে।
কান্তাসের নিলামে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রী ক্যাথেরিন কিং বলেন, এ নিলামে দেশের কোনো স্বার্থ নেই। কেবল অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ সময়, ভালো বেতনে এবং নিরাপদ চাকরির জন্য বিমানখাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কান্তাস জানিয়েছে, অতিরিক্ত বিমান যোগ করায় বাজার আরও প্রভাবিত করবে। তবে প্রতিষ্ঠানটি এও জানিয়েছে যে তারা আগামী পাঁচ বছরেও নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। কান্তাস বাজার প্রভাবিতের ভিষয়ে বিস্তারিত স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলেও ধরেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সোমবারের অর্থনৈতিক রিভিউয়ে বলা হয়েছে, বিমানভাড়া নিয়ে বর্তমানে দেশজুড়ে ক্ষোভ চলছে। কলামিস্ট জো অ্যাস্টোন বলেন, বর্তমানে কান্তাস এয়ারলাইন্সের বিমানভাড়া ৫২ শতাংশ বেড়েছে। যা করোনার আগে ২৮ শতাংশের কম ছিল।
কান্তাস এয়ারলাইন্সের আইনবিষয়ক কর্মকর্তা অ্যান্দ্রো চার্লটন বলেন, বিমান প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের বিশাল প্রভাব রয়েছে। তারা করোনার সময়ে বিপুল অর্থ কামিয়েছে এবং কর্মচারীদের চাপ দিয়ে বিশাল লাভের অঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে সিডনি থেকে সিঙ্গাপুর রুটে ভাড়া নিয়ে বিমান পরিচালনা করছে। এর ফলেও বিমানভাড়া বেড়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এ রুটে কাতার এয়ারওয়েজ সেবা দেওয়া শুরু করলে মানসম্মত সেবার কারণে যাত্রী হারাবে কান্তাস। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বিমানখাত।
মন্তব্য করুন